রচেস্টার ট্রেস, কেলভিন গ্রোভ, ব্রিসবেন
রাত ১০টা ৫৬ মিনিট
————-
পৃথিবীর সবচেয়ে দূর্লভ জিনিসটা কি?
প্রশ্নটা খুবই কমন, আর উত্তরটাও সবার জানা। তারপরেও এই কমন প্রশ্ন আর সহজ উত্তরের সাথে জড়িয়ে আছে আপেক্ষিকতা …!
হাত না বাড়িয়েও যে অসংখ্য কামনার হাতছানি পায় তার কাছে হয়তো ভালোবাসা নয়, দূর্লভ অন্য কিছু, হয়তো বা নিরাপত্তা। তিন বেলা খেতে পায় না যে, দূর্লভ তার কাছে অর্থ। সে ভাবে অর্থ দিয়ে খাবার কেনা সম্ভব, সম্ভব ভালোবাসা পাওয়া। যার জাগতিক বিষয়ে আছে উদাসিনতা, দূর্লভ তার কাছে বোধ -যা তার দেহ থেকে মন কে সরিয়ে নেয়। ওই ছোট্র মেয়েটির কাছে দূর্লভ হয়তবা একটি খেলার সঙ্গী, একটা কথা বলতে পারা পুতুল সে দেখেছিলো কোথাও, আর ওই দুষ্টু ছেলেটির কাছে তা শা শা করে ছুটে চলা সেই গাড়িটি, সে চেয়েও পায় নি…!
এই অসংখ্য অপ্রাপ্তি আর কামনার মায়াজালে সেই কমন প্রশ্নের সহজ উত্তরটি হারিয়ে ফেলে তার আহবান, জেনেও তাই উত্তরটি দেওয়া হয় না কিংবা হয়তো হয়ে উঠে মুখস্ত আউড়ে উঠা কিছু বুলি।
জীবনের এই কমন প্রশ্নের সহজ উত্তর তাই ফিরে জনে জনে, অবহেলা হয়ে অপরিচ্ছন্ন, অপরিস্কার হয়ে পড়ে থাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। আহা…জীবন। আহা প্রভু…!
অথচ অপরিচ্ছন্ন করে আবার সবাই খুজে ফিরে তা, বাদ নয় স্বয়ং বিধাতা…!
তার পুজো চাই, তারও চাই ভালোবাসা…!
১১ঃ৪৬
প্রিয় ডায়েরী, খুব টানটান অনুভুতির ভিতরে আছি। বুঝতে পারছি কলকাঠি নেড়ে সে প্রতিশোধ নিচ্ছে। তার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করি, কত্তবড় সাহস…!
হাহ্, প্রভু… তুমি যেন বাংলাদেশের অর্ধ শিক্ষিত ব্যুরোক্রেট। কথা বলার সময় উপর দিকে তাকিয়ে থাকো দম্ভ প্রকাশ করতে। কিন্তু আমি জানি তোমার রহস্য, তুমি দেখতে দিতে চাও না ওই চোখ দুটো, ওই চোখের ভিতর দিয়ে যে সব দেখা যায়…!
১১ঃ৫৩
অনেকদিন পর লুকিয়ে থাকা সেই অনুভুতিটুকু বেরিয়ে আসলো, আমার ভিতর জমে থাকা অন্য কারো অংশ। ভেবেছিলাম, অপরিস্কার হয়ে হারিয়ে গেছে। আহ্
“আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমার জন্য আলাদা করে রাখা এই ভালোবাসা কখনো নস্ট হবে না।”
এই কথাটুকু কে কি তুমি পাপমুক্ত করেছো প্রভু?
—————————————————————–
–
–
–
–
–
————————————
পুনশ্চঃ এই গানটা একজন হৃদয়বান ব্যুরোক্রেটের দেওয়া শেয়ার। এদের ভিতরেও আছে রকমফের কিন্তু শুধু নেই তার/তাদের। হাহ্ বিধাতা…!