05/09/01 F.M.A.
21/06/2015 A.D
প্রিয় ডায়েরী,
রমাদানুল মোবারক। :D, তুমি রোজার কি কিছু বুঝো? :v বোঝার দরকার নাই। শুধু শুভেচ্ছা গ্রহন করো। এই মাসটা আমার জন্য বেশ সিগনিফিকেন্ট। এই মাসেই আমি সৃষ্টি হয়েছি, আমি…! আরবী মাস যদি কনসিডার করি তাহলে কোন এক আরবী মাস রমজান এর প্রথম দিনে ধরনীতে এসেছিলাম। এজন্য আব্বা আমার নামও রেখেছে এটাকে ঘিরে, Thanks abba, রমজান রাখো নি বলে। 😛 রাখতেই পারতো। না… তিনি যথেস্ট আধুনিক ছিলেন। আমাদের ফ্যাক্টরিটা যখন আব্বা বিক্রি করে দিলো তখন আমাদের খুবই খারাপ অবস্থা। ফাইন্যান্সিয়ালি ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। খুবই কম দামে আব্বা জায়গাটা সহ দোতলা ফ্যক্টরিটা বিক্রি করে। তখন আমি এই বিষয়টার সাথে কোনভাবেই সম্পৃক্ত ছিলাম না যেমনটা ছিলাম পরবর্তিতে। তখন আমি বেশ ছোট ছিলাম বলতেই হয়। কিছু দিন আগে মেহেদী (ভাইয়া) বললো, ভয়াবহ কস্টের দিন ছিলো সেদিন তার জন্য। ফরিদপুরের কেন্দ্রে আমাদের একটা প্রপার্টি, চলে যাচ্ছে। ……বলতে বলতে ভাইয়া বললো, সে যাচ্ছিলো ফাইনাল ডিড এ এটেন্ড করতে, যারা কিনছিলো সেই লোকটার ভাই এসে ভাইয়াকে পিক করে নিয়েছিলো। মোটরবাইকের পিছনে ভাইয়া চুপচাপ বসে ছিলো, চোখে মুখে ছিলো কস্টের ছায়া। (তখন আমাদের অভিব্যক্তিতে প্রকাশ পেতো আব্বার ব্যর্থতা, কি জানি অন্যরাও সেটা দেখতো। ইনফ্যাক্ট একসময়ে আমাদের সব ছিলো, কিন্তু তখন আমরা হারাচ্ছিলাম…!) ভাইয়া যেটা বললো সেটা হলো, ওই লোকটা ভাইয়াকে দেখে বুঝতে পেরেছিলো তার কস্ট। এর পর বললো, শুনো মেহেদী এই হচ্ছে পৃথিবী, একটা সময় ছিলো আমরা মান্নান ভাইকে ফলো করতাম, তার হাটা চলা আমাদের মুগ্ধ করতো, আমরা তার মত হতে চাইতাম। অথচ…
“সাফল্য, সাফল্য-এর অন্য নাম আলো যেই আলোয় মানুষ আকৃষ্ট হয়।”
(আজ বাবা দিবস, সবাইকেই দেখছি ফেসবুকে তাদের বাবাকে নিয়ে বিভিন্ন অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে। আমি আমার আব্বাকে নিয়ে কিছুই লিখলাম না, বললাম না সে কেমন ছিলো, বললাম না আমি তাকে কি মিস করি কিনা। লিখতে পারলাম না। আমি জানি, আব্বার সাথে আমার যে বিষয়গুলো আছে সেগুলোর ভার ফেসবুক বহন করতে পারবে না। ফেসবুকে একপ্রেশন করা কে খুবই চিপ মনে হলো। ……………………লোকটাকে কখনো ভালোবাসি বলতে পারি নি…! “ভালোবাসি” তখন সমাজে ছিলো একটা পাপযুক্ত শব্দ। কিন্তু এই শব্দটা তাকে না বলতে পারার যে ব্যথা তা সারাজীবন আমাকে বহন করতে হবে। এই কস্ট মুছবার নয়, কোন কিছু দিয়েই নয়।)
Anyway,
এই মাসটায় শুধু আমি এসেছি ই না, আমি এই মাসটায় সৃষ্টি হয়েছি। এটা বোধহয় ২০০২ এ। এই মাসেই আমি উপলব্ধি করতে পারি আমাকে। আমার জীবনের নিয়ন্ত্রন আমি নেই। ২০০০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পরেও আমার অনেক কিছুই ছিলো অন্যদ্বারা পরিচালিত, শুধু বুঝতাম করতে হয় দেখেই আমি করছি। ২০০২ এর রোজায় আমি প্রথম নিজেকে চিনি। আমি প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে উঠি। রোজার বন্ধ-এর আগে একটা পরীক্ষা হয়েছিলো, ঠিক আগের মতই এজ ইউজুয়াল। কিন্তু ওই রোজা আমাকে আমুলে চেঞ্জ করে দেয়, আমি রোজার পরে যেই পরীক্ষা গুলো দেই সেই গুলো দিয়েই আমি ডিপার্টমেন্টের ওই ইয়ারের রেকর্ড মার্ক্স পাই। এক লাফ দিয়ে মেধা তালিকায় ২য় হই। এর আগের ইয়ারে আমার ফাস্ট ক্লাস মার্কস ই ছিলো না। মনে পড়ে সোবাহান স্যার মার্ক্স ঘোষনার পর অবাক হয়ে আমাকে খুজছিলো। কে আমি…! সে তখন আমাকে চিনতই না।
আমার বন্ধুরা ফরিদপুরের কেউ ই লিটারালি ফরিদপুরই ছাড়তে পারে নি। ওরা এখন এটা সেটা করে, আর আকুন্ঠ ডুবে আছে এলোমেলো কাজে। আমার জিলা স্কুলের বন্ধুরা যারা কেউ কেউ আমার থেকেও অনেক অনেক ভালো রেজাল্ট করেছিলো, তাদের কেউ কেউ খুবই ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে…কিন্তু এখন আমি যেখানে পড়েছি, এবং যেই অবস্থানে আছে বুয়েটে পড়া ছেলেটাও সেখানে নেই… নাহ্, এভাবে কম্পেয়ার করাটা ঠিক হচ্ছে না।
তবে …আজ আমি আর ২০০২ এর আগের আমি অনেক অনেক …(কি হতে পারে, শব্দটা খুজে পাচ্ছি না।)
…এরপর প্রতিটি রোজাই আমি উপভোগ করেছি।
এবার ও কি করব ……! আমার এবার রোজাটা খুবই টাইট টাইম। তা হলেও আমাকে করতেই হবে। খুবই টানপোড়নের মধ্যে আছি। জীবনের টানপোড়ন।
প্রিয় ডায়েরী,
রোজার আগে আমি আমার ওয়েট মেপেছি। খুবই হ্যাপি, ৭০ kg এর নিচে। আমার ওয়েট ৭২ ছিলো। এই রোজায় আমি ঠিক করেছি ৬৫ এর কাছাকাছি নিয়ে আসব। 🙂
রিসার্চ নিয়ে বেশ সমস্যায় আছি, সমস্যাটা বহুমুখি।
.. 🙁 তাই কনসেন্ট্রেশন ফল করছে।
ডেডিকেশন দরকার।
তবে মাঝে মাঝেই ছেদ পড়ে…। ছেদ পড়ে…
খুব কঠিন একটা টপিক নিয়ে কাজ করছি, এবং কাজটা করছি একা। প্রবলেমটা এখানেই, এই সমস্যাটাকে পাশ কাটিয়ে এগোতে হবে। প্রচুর কনসেন্ট্রেশন দরকার, প্রচুর।
ব্রেইন কিভাবে যে কাজ করছে…! ভয়ে আছি…
…খুব পুরাতন একটা গান পেলাম ইউটিউবে, ২০০১ এর দিকে শুনতাম গানটা। জেমস এর গান, খুবই প্রিয়…! কিন্তু …তখন স্যাড মিউজিক কেনো শুনতাম :O,
Leave a Reply