প্রিয় ডাইরি,

আমার একটা প্রিয় মুভি, The Sleepless Seattle. মুভিটার বিভিন্ন ঘটনার বাক সৃষ্টি হয় Meg Ryan এর চরিত্র এনি-র Sign দেখার মধ্য দিয়ে। Meg Ryan বা এনি হচ্ছে মুভির নায়িকা। সে বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু লক্ষন ধরে ফাইনালি নায়কের সাথে দেখা করে, গল্পের পরিনতি ঘটায়। বেশ কিছু দিন ধরে আমিও কেন যেন বেশ লক্ষন বা সাইন দেখতে পাচ্ছি।

এই তো গত পরশু রাতে। আমার জীবনের একটা অদ্ভুদ অথচ খুবই ইম্পর্টেন্ট একটা ঘটনা ঘটেছে সেদিন রাতে। আমি খুবই কাকতলীয়ভাবে একজনের সাক্ষাত পেয়েছিলাম। এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো আর এমনই একজনের সাথে কিছুক্ষনের জন্য কথোপকথন হয়েছিলো যা আমার জন্য খুবই ইম্পর্টেন্ট একটা ব্যাপার। তবে মজার ব্যাপারটা হচ্ছে, কিছু সাইন ধরেই আমি চলছিলাম আর খুবই আচমকা আমি তার সাক্ষাত পেয়েছিলাম। তার সাক্ষাত আর কথোপকথন ও আমার কাছে একটা সাইন। প্রকৃতি বড়ই রহস্যময়।

তবে আমাকে বলতেই হবে গল্পের মত বিষয়টা রোমান্টিক কিছু না  🙂 ।  এমন কি ব্যাক্তিটা এমনই একজন মানুষ যার সাথে আমি আর কোন দিনও যোগাযোগ করতে আগ্রহী নয়। কিন্তু তার সাথে যোগাযোগ একটা সাইন। 💡

এ ধরনের বেশ কিছু সাইন আমি কিছু দিন যাবত দেখতে পাচ্ছি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারেও কেন যেন মনে হচ্ছে আমি কিছু সাইন দেখতে পেয়েছি। মানে সাম্প্রতিক সময়ের CHAOS বিষয়ে আমার একটা অবসারভেশন আছে। আমি সেটা কে লক্ষনই বলতে চাই।

সে যাই হোক, আমার দুর্বলতাটা তুমি হয়ত বা ধরে ফেলেছো।  🙁   বড় বোকা আমি, অনেক ডিটারমাইন্ড ছিলাম, এভয়েড করার ও চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুর্বল চিত্তের এই আমি চাই না চাই না করেও এই পচে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টাকে ভালোবেসে ফেলেছি। আর তাই তো, খুবই সেনসিটিভ সাইন আমি দেখতে পারছি। আহা, যদি পারতাম অনেকের মতই এভয়েড করতে। নিঃসন্দেহে জীবনটা অন্যরকম শান্তি ময় হতো। Looser I’m.

তবে কি জানো, আমার দুর্বলতা গুলোকেও আমি ভালোবাসি, কারন আমার দুর্বলতা, অক্ষমতা আমার চারপাশের অনেককিছুকেই আমার কাছে অপরিচিত করে রেখেছে, রেখেছে রহস্যময় করে। রহস্য জীবনে শিহরন তৈরি করে, বেচে থাকার উদ্দেশ্য সৃষ্টি করে…!

সে যাই হোক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি আমাকে বেশ শঙ্কিত করেছে। আমি শঙ্কিত, হঠাৎ করেই সব ভেঙ্গে পরার ভয়ে আমি কুন্ঠিত। এগুলো করতে কিংবা দেখতে তো আসি নি।  আর তাই ‘সাইন’ গুলো খুবই আচানক করছে আমাকে।

আইসিটি ডিপার্টমেন্টে আমার শুরুটা হয় আজ থেকে আড়াই বছর আগে। আমার শুরুর সাথে আইসিটি বিভাগের ২য় ব্যাচের একটা কইন্সিডেন্স আছে, সেটা হলো তাদেরও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন একই সময় শুরু হয়। আমি বিভাগের ১ম ব্যাচের কাছে সংগত প্রক্ক্রিয়ায় ছিলাম ‘আগুন্তক’। একজন আগুন্তককে থাকতে হয় সতর্ক, সাবধানী পদক্ষেপে তাকে চলতে হয়। কিন্তু ২য় ব্যাচের কাছে আমি ছিলাম শুধুই আমি, তাই শুরুতে তাদের সাথে আমার ডিল ছিলো আমারই মত। একাডেমিক গন্ডি পেরিয়ে সম্ভত ওদেরই আমি অনেক সময় কথায় কথায় বাইরের পরিবেশ টা তুলে ধরতাম। আর মাঝে মাঝেই বলতাম, তোমরা তোমাদের চারপাশে যা দেখছো সেটা তোমাদের জন্য ফিট না। যখনই চারপাশ থেকে কিছু শিখবে অবশ্যই ফিল্টার করে শিখবে। অনেক সময় নিজের সত্তাকে বাজী রেখে আবেগতারিত হয়ে বোঝাবার চেষ্টা করেছি। After all this is all about your life, I can see. But unfortunately you can’t. But here I’m, your teacher, to let you show it. You must have to see it…!

ওরা যা করেছে…! ওহ্‌

I’m not only a looser but a failure too…!

অবশ্য বেশ কিছু দিন আগে থেকেই আমি সরে এসেছি। আমি সরে এসেছি কারন? কারন, আড়াই বছর কম সময় নয়, এই আড়াই বছরের মধ্যে আমি ওদের সবার ভিতরটা দেখে ফেলেছি।

আমি লুজার, ফেইলর হতে পারি, তবে অভিজ্ঞতা আমাকে বুদ্ধিমানের মত ভাবতে শিখিয়েছে, এক্ট করতে শিখিয়েছে। আমি বুঝে ফেলেছি, তাই তো দুরত্ব সৃষ্টি করতে পেরেছি।

ওরা যা করেছে, তা হুবহু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহৎ পরিসরের প্রতিচ্ছবি। ওরা কতিপয় নিজেদেকে “সবাই” ভাবতে শুরু করেছে। করছে এক, বলছে অন্য কিছু, সবাইকে বাধ্য ও করছে বলাতে। অদ্ভুদ, তবে আমি কিছুটা হলেও দোষী। আমিই হয়ত বলেছি, ইউনিটি ইজ স্ট্রেন্থ। তাই ওরা কতিপয় ইউনাইটেড, তবে শুধুই নিজ স্বার্থের কারনে। প্রবৃত্তি প্রবনে এগিয়ে যাচ্ছে, ওটাকেই প্রতিষ্টা করছে।  দুর্বলের দিকে সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে আঘাত করছে। “দুর্বলের” সংজ্ঞা আজ তাদের কাছে ভিন্ন, আপেক্ষিক।

হাহ্‌,

তবে ওরা কি জানে, জানে না। জানে না যে প্রকৃতি প্রতিদানে বিশ্বাসী। ফিরে আসবে সব, সবটুকুই ফিরে আসবে যেমনটা আমি বলি। আজ যা করছ ঠিক ৪ বছর পর থেকেই ফিরে আসতে শুরু করবে।

I swear, believe me. No, you don’t need to believe me. Just Remember those words while you are ahead with 4 years from now. That’s all.

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেমে পড়লেও পরিবেশের সাথে আমি এখনো খাপখায়িয়ে নিতে পারিনি। অনেক কিছুই সহ্য করতে পারি না এখনো। তবে গড়ার ভিতরের আনন্দ অনেকটা ডিভাইন, তাই গড়ার প্রত্যয় ছিলো ভিতরে। আর শক্তি পেতাম আমার এই ছাত্রছাত্রীদের কথা চিন্তা করে। ভাবতাম ওরা আছে সাথে।

আমি শুধু-ই দুর্বল না, মাঝে মাঝে নিজেকে নিরর্থক সপ্নচারীও মনে হয়। হতাশা নেমে আসে, আর খুব চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে, সব গোল্লায় যাক।

কিন্তু ভিতর থেকে কে যেনো বাধ সাধে। হাহ্‌ দুর্বলতা।

তাও আশা করতে ভাললাগে, একদিন বলব, চিৎকার করে বলব- গোল্লায় যায় সব। আহ্‌, অপেক্ষায় সেই দিনটির।

প্রিয় সঙ্গী,এগুলো বলতে ভালো লাগছে না। আমার ব্রেনের অদ্ভুদ একটা খাম খেয়ালীর কথা বলি। খুবই ছোটবেলায় আমি মামাবাড়ি থেকে ফেরার পথে খুবই মন খাপার অবস্থা বাসে একটা গান শুনেছিলাম।  হঠাৎ করেই সেই গানটা আমার মাথার মধ্য ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে সেই গানটা খুজে পাচ্ছি না। আর এর পর থেকেই সব পুরাতন গান গুলো মনে পড়ছে। আর সেই গান গুলো যা কক্ষনো মন দিয়ে শুনিনি। হয়ত অন্য কেউ শুনেছে, কানে এসেছে শুনেছি। এই ধরনের কয়েকটি গান আমি ডাউনলোড করে শুনছি। এগুলোর আপিল আমার কাছে বেশ ভিন্ন। বেশ অদ্ভুদ ভাবে গান গুলো ভালো লাগছে। আচ্ছা, এগুলো কি কোনো সাইন?  ❗

দোহাই,

FB তে মন্তব্য করতে এখানে লিখুন (ব্লগে করতে নিচে) :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

April 2024
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930