১.
রাতে হঠাৎ করেই সবাই মিলে 7/11 এ কফি খেতে গেলাম। কফি হাতে নিয়ে হাটতে হাটতে চার্চের কাছে চলে গেলাম। আগামীকাল ২৫শে ডিসেম্বর, ক্রিসমাস ডে। আমরা বাংলায় বলি বড়দিন। বড়—দিন। আচ্ছা নামটা বড় দিন কেনো?
এখানকার চার্চটা দেখে আমি প্রথম দিন মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম, বেশ নাটকীয় ছিলো বিষয়টা তখন। ঠিক সন্ধার লাল আলোয় লাল রঙের চার্চটা অদ্ভুদ সুন্দর লেগেছিলো আমার। সত্যি বলতে কি চার্চটাকে দেখে আমার চকলেট চকলেট লেগেছিলো 🙂
ঠিক রাত বারটার দিকে আজ আমরা চার্চের কাছে গিয়ে দেখি চার্চে প্রেয়ার শুরু হবে। ঢুকবো কি ঢুকবো না দোদুল্যমান অবস্থা থেকে আমাদের ডিসিশন নিতে সাহায্য করলো ফাদার। ফাদার আমাদের দেখে হাসিমুখে দরজা ধরে এগিয়ে আসলে ঢুকতে পারবো কিনা জিজ্ঞাসা করতেই হাসি মুখে বললো অবশ্যই। আমরা টুপ করে ঢুকে পড়লাম।

২.
প্রায় একঘন্টা ছিলাম ওই প্রার্থনা সভায়। বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে। সবচেয়ে বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে চার্চের এক্সেস টা। OPEN SOURCE কন্সেপ্ট অনেকটা 🙂 ফাদার দেখেই বুঝেছিলো, We are not their type. Thereafter he invited us to join with them.
বেশ কিছু ফরমালিটি ছিলো পুরো প্রার্থনাতে। বেশ কয়েকবার উঠে দাড়াতে হয়। তবে মিউজিকটা খুব সুদিং। মানে ওটায় বেশ মেডিটেশন ডেভেলপ করে। Kneel হয়ে বসতে হয়ে, ওটার জন্য ওদের ব্যবস্থা আবার আলাদা। 🙂
শেষে ওরা একটা বাতাসার মত জিনিস দিলো আর হলি ওয়াটার খেতে দিলো। এক চুমুক করে একটা পেয়ালা থেকে সবাইকে খেতে হচ্ছিলো। লাইনে দাঁড়িয়ে ওটার কাছে গিয়ে শুধু বাতাসাটা নিয়ে চলে এসেছি। হলি ওয়াটার টার প্রতি একটু দুর্বলতা ছিলো। হলি ওয়াটার, মুভি গুলোতে এটার একটা স্পিরিচুয়াল রোল থাকে মাঝে মাঝে। 🙂

৩.
অনেককিছুই লিখতে ইচ্ছা করছে, ধর্ম নিয়ে। তবে লিখব না। বিশ্বাস বিষয়টা খুব আপন কিছুই হবার কথা ছিলো, কিন্তু তা নয়। তাই হয়তো অনেক পার্থক্য। কি জানি।

However, Let the mankind be illuminated.

FB তে মন্তব্য করতে এখানে লিখুন (ব্লগে করতে নিচে) :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

November 2024
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930