৫০১-ডরমিটরি, কুবি (রাতঃ ২:২৩)

আচ্ছা, মানুষ কি সৃষ্টি করতে পারে?
পারে তো? সৃষ্টিশীল মানুষ বলে প্রচলিত একটা বিষয় আছে, আমরা বলে থাকি। কেউ সুন্দর ছবি আকতে পারলে কিংবা কেউ সুন্দর গল্প লিখলে আমরা তাদের সৃষ্টিশীল বলি। Materialistic ভাবে চিন্তা করলে এই সৃষ্টিশীলতার কিন্তু কোন জায়গা নেই। কেননা এগুলো ভাবের অবস্থানের প্রকাশ, হাইপোথেটিক্যাল যার, মেটেরিয়ালিসটিক Existence নেই।

Materialistic ভাবে চিন্তা করলে, মানুষ যখন কোন কিছু সৃষ্টি করে, তখন যে উপাদান গুলোর সে সাহায্য নেয় তাদের কিন্তু সে সৃস্টি করে না। তার কাজ হয় শুধু এগুলোর নিজেস্বরুপ বদলে দিয়ে সেখানে নতুন রুপ দেওয়া। যেমন একটা বিল্ডিং কিংবা একটা পুতুল। এটা মাটির-ই একটা রুপ যা বিভিন্ন প্রসেসে এসেছে। কিংবা যদি চিন্তা করি রোবটের কথা, তাও কিন্তু Existing ম্যাটেরিয়ালের সমাবেশ। নতুন আইডিয়ায় সন্নিবিস্ট হয়েছে। তবে এই রুপ বদলকেই যদি সৃষ্টিশীল কাজ হিসাবে গন্য করি তাহলে বড় স্রষ্টা হতে হলে এই মেটিরিয়ারলকে জয় করতে হবে।

সাধারনত যে উপাদানটিকে মানুষ সৃষ্টির মাধ্যম হিসাবে বেছে নেয়, তারমধ্যে এমন একটি প্রতিরোধ শক্তি থাকে যা তাকে নতুন রুপারোপে বাধা দেয়। এটা সকল ম্যাটেরিয়ালের জন্যই সত্য। তাই যিনি এই প্রতিরোধ যতবেশি জয় করতে পারেন তিনি হন তত বড় স্রষ্টা এবং শিল্পী।
সন্দেহ?

সে থাকুক, আপাতত এই গানটা শোনা যেতে পারে, গানটা সুন্দর। 🙂

FB তে মন্তব্য করতে এখানে লিখুন (ব্লগে করতে নিচে) :

9 Responses to সৃষ্টির রহস্য…না স্রষ্টার রহস্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

April 2024
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930