১৪-ই এপ্রিল, ২০১৪
রাত ৩টা ৪৬ মিনিট
১লা বৈশাখ, ১৪২১
প্রিয় ডায়েরী
মাঝে মাঝে এমন হয় না, ঘুমুতে ইচ্ছা করে না। এমন-ই একটা রাত আজ। ঘুমুতে ইচ্ছা করছে না। কোন অবসাদও নেই। এই তো কিছুক্ষন আগে ভয়াবহ মেজাজ খারাপ ছিলো। এখন আবার বেশ পুরানো দিনে ফিরতে ইচ্ছা করছে, ঘুমাবো না। 🙂
গান শুনছি, প্রিন্স মাহমুদের একটা গান। এই লোকটার ভারী চশমার আড়ালে বেশ রহস্য আছে। ওর ওই রহস্যের কারন-ই কিনা ও বেশ মাস্টার পিস তৈরি করেছে। বেশ কিছু শিল্পী ওর নিজের হাতে তৈরি। মাঝে মাঝে আমি ওর ভিতরে শুভ্র-র প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। হুমায়ুন অবশ্য নিজের একটা আবহ থেকেই শুভ্রকে সৃষ্টি করেছিলো কিন্তু হুমায়ুন পুরোটাই শুভ্রটাইপ না।
আমি যখন ছোট্ট ছিলাম, সবাই আদর করলে ভাবতাম ছোটদের সবাই এত আদর করে কেনো।। বেশ বড় হবার পর-ও, এই তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় ও আমি খুব একটা বাচ্চা পছন্দ করতাম না। কিন্তু মালিয়াতের জন্মের পর আমার এই প্রশ্নের উত্তর সহ আমি নিজেই পরিবর্তিত হয়ে গেলাম। একেবারে প্রথম প্রথম ছোট্র মালিয়াত শুধু আমার ঘরেই আসলেই কান্না থামিয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকত, কে জানতো কত মায়া এই তাকিয়ে থাকায়।
মাহভিনকে ওতটা কাছে পাইনি। তবে আশেপাশে ছোট কোন বাচ্চা রিন রিন কন্ঠে কথা বললেই মনে হয় মাহভিন কথা বলছে।। ওর গলাটা বেশ মিষ্টি।।
মাহরুসকে ভাবছি। ছোট্র একটা মানুষ, এত্তটুকু। শুনতে পাই অনেক নাকি জিদ। মালিয়াতের ছোট্টকালটা কেটেছে আমার সামনে। ওদের হাসি কান্না, প্রথম প্রথম অভিব্যাক্তির বহিঃপ্রকাশ বেশ অন্যন্য।
মাহরুসের বয়স যখন ঠিক ১ দিন হয়, ঘড়ি ধরে আমি ওর একটা ছবি নেই। ছবিটা ওর ছোট্র পায়ের। বড় হ বাবা, তুই বড় হলেই তোর সাথে সময় কাটাবো।
(৪:২৫)