আজ ৬ই সেপ্টেম্বর, ব্রিসবেন। বাংলাদেশে এখনও ৫ই সেপ্টেম্বর। নানু চলে গেলেন। এই কিছু দিন আগেই তো খালাম্মা চলে গেলেন। দুইজন পাশাপাশি বিছানায় শুয়ে থাকতেন।
কি জীবন যাপন করেছেন তারা…!

খুব হতাশ লাগে, ধর্ম…! ধর্ম থেকে মোরালিটি হবে, কিংবা এথিকস্‌ হবে এটা আসলেই ভ্রান্ত এক ধারনা। মোরালিটি শিক্ষা দিতে হয় আলাদা ভাবে। ধর্ম করলেই মরালিটি গেইন করে না।

স্যার আর্থার ক্লার্ক বলেছে “The greatest tragedy in mankind’s entire history may be the hijacking of morality by religion.” –এই কথাটুকু খুবই সত্য।

ধর্ম মরালিটির একটা অংশ শেখায় তবে তা হয়তো পরিপুর্ন নয়। যদিও পরিপুর্ন হয়েও থাকে তা কন্টেম্পোরারী ধর্ম চর্চা থেকে হারিয়ে গেছে। আমি এখানে দেখেছি সৌদিরা ধর্ম চর্চা করে, কিন্তু শুধু তার উপরই ভর করে নেই।

আমার খুব কস্ট হয়। দাদাভাই কে দেখিনি। নানা ভাই আমি খুব ছোট থাকতেই চলে গিয়েছিলেন। দাদু কে পেয়েছি, তিনি ছিলেন অন্তঃপ্রান। ১৯৯৮ তে তিনি যখন চলে যান তখন আমি এস এস সি পরিক্ষার্থী। চোখের সামনে তিনি চলে গেলেন। তাকিয়ে তাকিয়ে তার মৃত্যু দেখলাম। প্রথম কোন এক কাছের মানুষের চলে যাওয়া।
ডাক্তার কাকুকে ডেকে নিয়ে আসলাম, তিনি বললেন, মুখে পানি দেন…!

 
আজ নানু চলে গেলেন।

মাঝে আব্বাকে হারিয়ে বেশ শক্ত হয়ে গেছি। মৃত্যু বিষয়ক জিনিস গুলো তাই শুধুই ভাবিত করে, চোখ ভিজিয়ে দেয় না।

 

আহা জীবন।

আল্লাহ নানুকে বেহেস্তবাসী করুন।

রাত দুটা, রচেস্টার ট্রেস|

FB তে মন্তব্য করতে এখানে লিখুন (ব্লগে করতে নিচে) :

2 Responses to চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

November 2024
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930