- Alamin on জনাব নজরুল ইসলাম খানকে নিয়ে একটা অভিজ্ঞতা…
- Alamin on বিউগল…
- Emmett on তোমার আনন্দ তুমি সবাইকে দেখাবে, দুঃখ কাউকে না…
- Fida Hasan on পেট্রিফাইড লাইফ
- Anonymous on পেট্রিফাইড লাইফ
- mortgage on তোমার আনন্দ তুমি সবাইকে দেখাবে, দুঃখ কাউকে না…
- Anonymous on Confirmed…!
- শেষ দুপুরের আলো on বিউগল…
- Fida Hasan on চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান
- Anonymous on চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান
- Anonymous on ঝির্ ঝির্ ধারা…
- Fida Hasan on ভালোমানুষের খোজে…! লোকে যাকে ভালো বলে, না…সবসময়ই ভালো সে হয় না।।
- Fida Hasan on গভীর রাতের এলোমেলো কথা
- Anonymous on ভালোমানুষের খোজে…! লোকে যাকে ভালো বলে, না…সবসময়ই ভালো সে হয় না।।
- Anonymous on গভীর রাতের এলোমেলো কথা
- ভালোমানুষের খোজে…! লোকে যাকে ভালো বলে, না…সবসময়ই ভালো সে হয় না।। Views: 14754
- মার্গারেট ও তার বাসার বিড়াল Views: 13266
- আলোচিত-সমালোচিত প্রথম ব্লগের উপর আমার দ্বিতীয় ভয়েজ ব্লগ (30-08-2013) Views: 12411
- আভা Views: 10458
- ধর্ম… (পরিবর্তিত ধারনার সংগত যুক্তি) Views: 10131
- সময়ের সাথে সুর ও জীবন (পর্ব -১)…! Views: 9445
- একটা ইরেজার হবে? Views: 9126
- তোমার আনন্দ তুমি সবাইকে দেখাবে, দুঃখ কাউকে না… Views: 8980
- প্রেমিকা… Views: 8912
- রহস্যময় মনস্তত্ত্ব Views: 8157
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট ও টুকরো কিছু স্মৃতিকথা- পর্ব-২
[মুখবন্ধঃ “বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট ও টুকরো কিছু স্মৃতিকথা” একটা ধারাবাহিক ঘটনার পরম্পরা। যা এখানে লিপিবদ্ধ তা বাস্তবতা। আমি আমার দৃষ্টি দিয়ে দেখে লিখেছি, দৃষ্টি Change হলে দৃষ্টি-ভঙ্গীর পার্থক্যের কারনে বর্ননার পার্থক্য হতে পারে যেটা আপেক্ষিক। এই পরম্পরায় ৩ টি পর্ব আছে। পর্বগুলো পড়ে মতামত জানাতে পারে যে কেউ-ই। তবে সঙ্গতি রেখে মন্তব্য করলে খুশি হবো। ধন্যবাদ।]
এই পরম্পরার প্রথম পর্ব পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করতে পারেনঃ
প্রথম পর্বঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট ও টুকরো কিছু স্মৃতিকথা- পর্ব-১
১.
আমি যখন জয়েন করি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট তো দুরের বিষয়, ছিলো না BTCL এর টেলিফোন লাইন, যেটাকে বলা হয় ল্যান্ড লাইন। মোবাইলের মাধ্যমে একাডেমিক/এডমিনিস্ট্রেটিভ যোগাযোগ চলতো, Home and Abroad । একদিন বাসা থেকে আসার পথে আমার মোবাইলটা সুইচ অফ হয়ে যায়। অনেক্ষন অফ ছিলো বিধায় ভাইয়া বিভিন্ন ভাবে আমাকে Reach করতে ট্রাই করছিলো। সে বিভিন্ন ভাবে ট্রাই করে জানতে পারলো আমার অফিসে কোন ফোন যোগাযোগ নেই, আর পুরো বিশ্ববিদ্যালয়েই নেই Land Line. আমার মনে আছে পরবর্তীতে সে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বিষয়টি বলেছিলো এমনভাবে যে, তুই থাকিস কোথায় :(. লজ্জা পেয়েছিলাম। যদিও লজ্জা পাবার মত তেমন ব্যাপার না…!!! যাইহোক।
২.
একদিন আমি জানতে পারলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে Access to Information (A-to-I) এর একটা প্রযেক্ট দেশের বিভিন্ন প্রাইমারী শিক্ষা প্রতিষ্টানকে ইন্টার্নেটের আওয়তায় আনতে শুরুতে অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে যুক্ত করছে। দেশের সকল সরকারী প্রাইমারি শিক্ষা প্রতিস্টান অপ্টিক্যাল ফাইবারে কানেকটেড হচ্ছে আর একটা পাবলিক প্রতিষ্ঠানের এই হাল। আমি যোগাযোগ শুরু করলাম। পরিচিত কয়েকটি জায়গায় নক করলাম। ভিসি স্যারকে(প্রফেসর আমির হোসেন খান) জা্নালাম। তিনিও যোগাযোগ করলেন। স্যার এই কাজটার পিছনে আমাকে লাগিয়ে দিলেন, বললেন এটা তোমার স্পেশাল এসাইন্মেন্ট। আমি তখন নতুন জয়েন করেছি, স্পেশাল এসাইনমেন্টে তো – সেরকম এক্সাইটেড…!
[আসলে, নিজের পকেটের টাকা খরচ করে অন্যের কাজ করছি, নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো আর কি…! দুঃখিত এভাবে বলার জন্য তবে নিজের পকেটের পয়সা মোবাইল খরচ থেকে শুরু করে যোগাযোগ করতে খরচ করেছিলাম যা কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দাবী করিনি। আমি অনেককেই দেখেছি নিজের পকেটের টাকা এই সকল বিষয়ে যেখানে কোন পারসোনাল ফিডব্যাক নেই খরচ করে না। তবে আমি করেছিলাম, আর আমি খুবই সৌভাগ্যবান মনে করছি নিজেকে যে এই কাজটা করে আমি যা শিখতে পেরেছি তা আমার খরচের তুলনায় বহুগুন বিনিমেয়।]
কয়েকদিনে পর আমরা একটা চিঠি পেলাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে, ওই প্রযেক্টে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সর্বশেষ প্রতিষ্টান অপটিক্যাল ফাইবার এর কানেশন পাবে হিসাবে অন্তভুক্ত হয়েছে। খুবই খুশি হলাম। মুলত, ঐ প্রযেক্টটা শেষ পর্যায়ে ছিলো, সব কানেকশন দেওয়া শেষের দিকে। এমতবস্থায় উদ্ভুত কিছু বেচে যাওয়া মেটিরিয়ালসের কারনে আমাদেরকে মুল প্রযেক্টের অতিরিক্ত কাজ হিসাবে অন্তভুক্ত করা হয়।
এসংক্রান্ত সকল বিষয়ে আমি সরাসরি যোগাযোগ করেছি। দেখেছি সমগ্র কাজ তদারকি করা হচ্ছিলো প্রধানমন্তীর কার্যলয় থেকে, বিটিসিএল ছিলো জড়িত আর ছিলো সাব-কন্ট্রাকটর যারা মাটি খুড়ে ফাইবার লেইং-এর কাজ করত।
এ কাজে বিভিন্ন সময় আমাকে বিভিন্ন স্টেজে কথা বলে Pursue করতে হয়েছে। কিছু হলেই কাজ থেমে যেতো বিভিন্ন দপ্তরে।
যেমনঃ সাবকন্ট্রাক্টরা কাজ করবে না। কারন এটা তাদের কন্ট্রাক্টে উল্লেখ ছিলো না। তারপর তাদের মাননীয় প্রধানমন্তীর দপ্তরের অর্ডার দেখানো হয়। রাস্তা খুড়তে রোড এন্ড হাইওয়ের পারমিশন দরকার, সিটি করপোরেশনের পার্মিশন দরকার। তারা দিতে চায় না। কোন পথ দিয়ে আসবে, কিভাবে আসবে সেই ম্যাপ করা দরকার। এসকল করতে গিয়ে দেখলাম কেমন হ্যাচাল…! প্রতিটি স্টেজে আমার কোথাও না কোথাও টপ স্টেজে বা Key পারসনকে Phone দিতে হয়েছে। আমার মনে আছে, বিভিন্ন স্টেজে সেই স্টেজের চিফ পারসনটাকে না জানানো পর্যন্ত কাজ আগাচ্ছিলো না। আমি ধৈর্য্য ধরে কাজ গুলো করে যাচ্ছিলাম।
এর ভিতর একদিন বিটিসিএল এর ডিরেক্টর কে ফোন দিলাম যিনি এই প্রযেক্টের সাথে যুক্ত ছিলেন, লোকটির নাম আহসান উদ্দিন ছিলো সম্ভবত। লোকটি আমার সব কথা শুনে প্রথমেই যেটা বললো, “আমরা প্রাইমারী স্কুলে লাইন দিচ্ছি অথচ একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেটের লাইন নেই। এটা প্রধানমন্ত্রী শুনলে তো আমাদের চাকরি থাকবে না।”
কথা বলে সে তড়িৎ গতিতে কিছু কাজ করে দিলেন যেটা আসলেই আমাদের উপকৃত করেছিলো। সব কিছু এত খারাপ যে, রোড এন্ড হাইওয়ে, ঢাকা-চিটাগং রাস্তা কাটতে দেবে না, সিটি কর্পোরেশন রাস্তার পাশ দিয়ে কাটতে দিবে না। বিটিসিএল স্থানীয় অফিস সেন্ট্রাল অফিসের অর্ডার অনুযায়ী কাজ করে না…! এই “সুন্দর গলার (!)” লোকটি এসকল সমস্যার কিছু খুব দ্রুত সমাধান করে দিলেন। কাজ এগিয়ে চলতে লাগলো।
৩.
অপটিক্যাল ফাইবারের লাইন আসার পর যেটা দরকার হবে সেটা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচার। আমি সেদিকে মনোযোগ দিলাম। তখন World Bank এর একটা প্রযেক্ট BDRAN এর আওতায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ক্যাম্পাস এড়িয়া নেটওয়ার্ক করে দেওয়া হচ্ছিলো। এই প্রযেক্টের টেকনিক্যাল ডিভিশনের প্রধান ছিলো ড. হাশেম স্যার। স্যারের সাথে আমার পরিচয় ছিলো আমি তার সাথে কথা বললাম এবং ভিসি স্যারের সাথে কথা বলিয়ে দিলাম। তিনি বললেন একটা প্রযেক্ট দারকরিয়ে UGC তে জমা দিতে। ভিসি স্যার ড. জাকির সায়েদুল্লাহ, ডিন(সাবেক), সোসাল সায়েন্স ফ্যালাল্টি, ড. আবু তাহের, ডিন(সাবেক), সায়েন্স ফ্যাকাল্টি ও আমাকে দিয়ে ৩ জনের একটা কমিটি করে দায়িত্ব দিলো প্রযেক্টটা দাড় করাতে। রাত দিন খেটে এবং একটা ডিপ্লমা ইঞ্জিনিয়ার কে সাথে নিয়ে আমরা একটা প্রযেক্ট দাড়া করালাম। প্রযেক্টার ডিটেইল আর্কিটেকচার, ড্রইং আর বাজেট সহ আমরা সেটা UGC তে পেশ করলাম। দুঃখজনক ভাবে এরই মধ্যে ড. হাশেম স্যার তার কর্মক্ষত্র Change করে এবং একটা Financial Year শেষ হওয়াতে আমাদের প্রজেক্টা পাশ হয় নি।
(তবে এইতো মাস খানেক আগে আমি আমি ওই প্রযেক্টের নতুন হেড ড. মামুন স্যার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, তার সাথে কথা বলেছি। তিনি প্রজেক্টটা দেখেছেন আর বলেছেন এই প্রযেক্টটা তিনি অন্তভুক্ত করবেন তবে কাজ শুরু হতে সময় লাগবে আরো।)
৪.
মাঝে বাংলাদেশ ম্যাথ অলিম্পিয়াডের সম্পাদক ও তখনকার ICT Ministry র উপদেষ্টা মুনির হাসান কে নিয়ে একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করলাম। তিনি আমাদের ক্যাম্পাসে আসলেন বিষয়গুলো দেখলেন আর তার মত করে চেষ্টা করার আশ্বাস দিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বেশ কয়েকটি Concern জায়গায় বিষয়টি অবহিত করেছিলেন আর ফেসবুকে একটা Movement করেছিলেন, যেটার গ্রুপ নাম তার আগে চাই ব্রড ব্যান্ড ; যেখানে দেশে ব্রডব্যান্ড সংক্রান্ত সকল সমস্যা বিশেষ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা গুলি কে হাইলাইট করা হচ্ছিলো।
৫.
মুলত ধীরে ধীরে এভাবেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু আকাক্ষিত ইন্টারনেটের বীজ বপিত হয় যা সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে খুবই দ্রুত আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। আমি খুবি আশাবাদী, Uninterrupted Internet কানেশন খুব দ্রুত ক্যাম্পাসের দোরগোরায় পৌছাবে।
এই পরম্পরার তৃতীয় পর্ব পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করতে পারেনঃ
তৃতীয় পর্বঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট ও টুকরো কিছু স্মৃতিকথা- পর্ব-৩
.
FB তে মন্তব্য করতে এখানে লিখুন (ব্লগে করতে নিচে) :
- April 2022 (1)
- May 2016 (3)
- April 2016 (8)
- March 2016 (4)
- February 2016 (4)
- January 2016 (2)
- November 2015 (2)
- October 2015 (6)
- September 2015 (7)
- August 2015 (4)
- July 2015 (8)
- June 2015 (4)
- May 2015 (7)
- April 2015 (5)
- March 2015 (6)
- February 2015 (11)
- January 2015 (18)
- December 2014 (2)
- October 2014 (2)
- September 2014 (5)
- August 2014 (2)
- July 2014 (3)
- June 2014 (5)
- May 2014 (5)
- April 2014 (4)
- February 2014 (1)
- January 2014 (4)
- December 2013 (3)
- November 2013 (4)
- October 2013 (1)
- September 2013 (1)
- August 2013 (2)
- July 2013 (4)
- June 2013 (10)
- May 2013 (1)
S | M | T | W | T | F | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
29 | 30 | 31 |
Leave a Reply