ফয়সাল ভাইয়া, আমার কাজিন। প্রানবন্ত একজন মানুষ।
ফয়সাল ভাইয়া, আজ সকালে ফুটবল খেলতে গিয়েছিলো।
ফয়সাল ভাইয়া, ভাইয়াকে সন্ধায় চিরদিনের জন্য ছেড়ে এসেছে সবাই সাড়ে তিন হাত মাটির একটা ঘরে।
খুব বেশি দিন হয় নি ভাইয়া দেশে ফিরেছে। ভাইয়া যখন ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে জয়েন করেন তখন আমার সাথে বেশ কথা হয়েছিলো। তিনি দ্বিধান্তিত ছিলো। ভাইয়াকে বলেছিলাম, ভাইয়া শুরু করেন।। ভাইয়া বলেছিলো, হ্যা, দেখি শুরু করে।
এই তো বোধহয় ছ-মাসও হয়নি ভাইয়া বিবাহ করেছে। জীবন তো কেবল-ই শুরু করেছিলো সে…!
এমন একটা প্রানবন্ত মানুষ, সকালে খেলার মাঠে আর এখন গহীন অন্ধকারের একটা রুমে। আরো কতো প্রানবন্ত প্রানহীন মানুষের সাথে শুয়ে আছেন। আহা জীবন……!
প্রভু, মৃত্যু থেকে কি জানতে হবে? তোমার ক্ষমতা অনেক? আমাদের সবাইকেই চলে যেতে হবে, মরে যেতে হবে? নাকি চারপাশে যা দেখছি সব-ই মিথ্যা মায়া…! বলো প্রভু……।।
…
সারাটা দিন একটা ঘোরে কেটেছে। চলে যেতে হবে ভাবতেই ঘোর পেয়েছে। চলে যেতে হবে, চলে যেতে হবে, কোন একদিন নিশ্চয়ই চলে যেতে হবে।
জীবন।
…কেনো?
………… এমন প্রানের মৃত্যুতে কেনো যেন নিজেকে নিসঙ্গ লাগে। হারানো বোধটা তীক্ষ্ণ হয়ে বিধে, পরিবেশ সবকিছুকেই অর্থহীন করে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। জীবন, ফুরাবে একদিন।।
Leave a Reply