ডেয়ার ডায়রী,
আমার ল্যাবে আমরা ১২ জন কাজ করি। ১২ জনের ভিতরে একজন আছে সৌদি আরাবিয়ান। ও ঠিক আমার ডেস্কের অপজিট ডেস্কে বসে। নাম আবদুল্লাহ্। মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রায় সব সৌদির নামই আবদুল্লাহ্ 😀
It is like most of Bangladeshi, people in Bangladesh use Mohammad in their first name is common, however, as here in Aus it is practiced to call and address everyone using their first name so most of Bangladeshi here comes with same name, Mohammad.
আমি এই দিক দিয়ে বেশ মুক্ত। থ্যাঙ্কু আব্বু।
সে যাই হোক,
আব্দুল্লাহ খুব ঠান্ডা, ধীরস্থির। জেন্টেল ছেলের একটা প্রতিরুপ। ল্যাবে কখন ঢুকে কখন বের হয় বোঝাই মুশকিল। এত শান্ত। আমি একসময় ভেবেছিলাম, এ বোধহয় পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না কারন ডেস্ক থেকে তো উঠতেই দেখি না। কিন্তু না, সে ঠিক পাচওয়াক্ত নামাজ পড়ে, চুপচাপ উঠে যায় আর এসে বসে।
অথচ এই আমি এক দিন নামাজ পড়ি, তাও এমন হল্লা করতে করতে যাই…! :/ নো গুড।
ভালো কিছুর প্রতি আমার বরাবরই আকর্ষন। ছেলেটার প্রতি আমার অবার্ভেশন ছিলো আমার। মাঝে মাঝেই ওর সাথে গল্প করি। বোঝার জন্য। আরবে আসলে অনেক শ্রেনী বিন্যাস আছে, উচু নিচু। এই ছেলেটি খুবই উচু গোত্রের। তাই এলিটনেস আছে ভিতরে।
যাই হোক, বেশীভাগ আরবরা এখানে নিজেদের টাকা দিয়ে পড়ে। এখানকার স্কলারশীপের টাকা দিয়ে তাদের চলে না বরং তারা তাদের দেশের স্কলারশিপ যেটা এখানকার স্কলারশীপের প্রায় চার গুন পরিমান টাকা তা নিয়ে পড়তে আসে। আলিশান ব্যাপার স্যাপার।
তবে বেশির ভাগই গোবরগনেশ টাইপের। আন্ডারগ্রাডের ছেলেপেলেরা প্রাইভেট পড়ে। ভাবা যায়…! ইংলিশে ভয়াবহ দুর্বল।
এই দিক দিয়ে আব্দুল্লাহ বেশ আলাদা। তবে সে চুপচাপ থাকে, ভদ্র এটাই হয়তো একটু ডাউনসাইড তার !
এনিওয়ে,
যেহেতু আব্দুল্লাহর ডেস্কটা ঠিক আমার সামনে, আমি প্রথমে এসেই এক বাংলাদেশী যে কিনা তার গ্রুপ মেইট তাকে আস্ক করেছিলাম ওর সম্পর্কে। আব্দুল্লাহ মুলত খুব সকালে আসে আর খুব রাতে কাজ শেষে যায়। আবার উইকেন্ডে কাজ করে। এত কাজ করে দেখে প্রথমে এটেনশন দিয়েছিলাম তাই বাংলাদেশীর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম।
বাংলাদেশী ভয়াবহ তুচ্ছতাচ্ছিল্ল করলো।
বললো, কোয়ালিটি নেই। এত সময় দেয় আউটপুট নাই। এই সেই।
শুনে আমি দমে গেলাম। ভাবলাম তাই ই বোধহয়।
হা হা
এই আব্দুল্লাহর একটা আর্টিকেল তার ফিল্ডের ইউ এস বেস সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস কনফারেন্সে এক্সেপ্ট হয়েছে যার জন্য স্বয়ং হেড অফ দ্যা স্কুল আমাদের সবাইকে মেইল দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এটা একটা বিরল সন্মাননা।
আজ জানতে পারলাম, সবার যেখানে সাড়ে তিন বছর লাগে প্রগ্রাম কম্পিট করতে সেখানে সে ২ বছর ৯ মাসে সব কমপ্লিট করছে। আউটস্টান্ডিং। তার এর ভিতরে সাত-সাতটা আর্টিকেল পাবলিশ হয়েছে আর দুটো পাইপলাইনে আছে।
হা হা হা
এই হচ্ছে তার আউটপুট।
Most of our observations are very much inclined to jealousy. This is not good.
Leave a Reply