Rochester Terrace,
06-02-2015 |8:18 PM
প্রিয় ডায়েরী,
আমি খুব চিন্তিত। বেশ, খুব চিন্তিত। আর এই চিন্তা গুলোর কারনে আমি শক্তি হারিয়ে হতাশায় ডুবে যাচ্ছি মাঝে মাঝেই। আজ অফিস থেকে হেটে হেটে বাসায় ফিরলাম। কিছু করি নি,ইনফ্যাক্ট কিছুই করিনি। ঘুম থেকে দেরি করে উঠে দায়সারা জুম্মার নামাজ পড়ে ফেসবুকিং করেছি।
আমার চারপাশের বেশির ভাগ মানুষই আমজনতা…! খুবই সামান্যই তাদের বোঝাপড়া। ডেপথ নেই, ভাবতেও চায় না। কি অদ্ভুদ। বাংলাদেশে থাকতে এই বিষয়গুলো নিয়ে আমি ভাবতাম, তবে সেটায়ও স্বাধীনতা ছিলো না। ভাবনার শুরুতেই আমি ডেস্টিনেশন ঠিক করে ভাবতাম, যেটা সবাই করে। যেমন, প্রভু আছে আর সে যা বলেছে তাই ঠিক। এইটা ঠিক ধরে চারপাশের সব কিছু এর সাথে মেলাতে চেস্টা করতাম। টেনেহেচড়ে মিলাতাম, না মিললে তা ঠিক নাই। কিন্তু এখানে এসে আমি বেশ একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট পরিবেশে ভাবছি। বা বলা যেতে পারে ঠিক অপজিট একটা আবহে ভাবছি। ভাবতে গিয়েই হতাশা বোধ করছি।
ফেসবুকে একটা মেয়ে আছে, উনি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার। এর সাথে আমার যোগাযোগ একটা ইন্টারেস্টিং অধ্যায়। হয়তবা কোন একদিন বলবো :). তবে এই মেয়েটা অসম্ভব রকম রিলিজিয়াস, কনটেম্পরারী আর কি…! সে তার ফেসবুকে ধর্মীয় পোস্ট দেয় সব সময়। এটা ভালো। তবে অনেক বিষয় আছে যা বিতর্কিত সেই বিষয় নিয়েই সে দেয়। আজ বুখারী হাদিস রেফারেন্সে সে একটা পোস্ট দিলো যেটা মুসলিম নারী নেত্রিত্ব হারাম বা ঠিক নয় আর তার পরিনতি স্বাভাবিকভাবেই সাফল্যমন্ডিত নয় এই সম্পর্কিত। ওই পোস্ট টা সম্পুর্ন ইন্সালটিং। এটলিস্ট এই সমাজে ইন্সালটিং। তো আমি কিছু সম্পুরক কমেন্ট করলাম, বললাম চিতায় পুড়ে সহমরনে যাওয়ার সতীদাহ প্রথা যখন রদ করা হয়েছিলো তখন সেটার বিরোধীতা রমনীরাও করেছিলো আর অনেকেই সেই আইন না মেনে নিজেকে শ্বশানে সপে দিয়েছিলো। দিলাম একটা লিংক, যেটা একটা সন্মেলনের ছবি, আরবের সন্মেলনের ছবি।
http://www.priyo.com/2015/02/05/131l874.html
সন্মলনের বিষয়, নারীর অধিকার রক্ষা। কিন্তু সেই সন্মেলনে হাজার হাজার উপস্থিতির মধ্যে একজনও মহিলা নেই। লিংকটা দিয়ে বললাম, আমার অধিকার আমার অনুপস্থিতিতে কে রক্ষা করবে? আমি মনে করি এমন সাধু কেউ নেই যে করবে। সাথে আরো একটা লিংক দিলাম, খুবই ব্রুটাল একটা লিংক যে ভিডিওটা মক্কা থেকে নেওয়া দেখানো হচ্ছে এক মাঝ বয়সী মহিলাকে কতল করা হচ্ছে।
আন বিলিভেবল। লিখলাম, মেয়েদের সম্পর্কে কিছু বললেই ওরা বলে মেয়েদের ওরা সন্মান দেখায় তাই তাদের ওরা এটা করে, ওটা করতে দেয় না। কিন্তু কতল করার সময় কেনো তাকে জনসম্মুখে রাস্তায় কতল করা হলো, আড়ালেই তো করা যেতো।
মেয়েদের ক্ষেত্রে পুরুষের সম অধিকার কিংবা স্বাধীনভাবে চলাফেরার কথা বললে তখন তা হরন করা হচ্ছে সন্মানের কথা বলে অথচ কতল করার সময় সবার সামনে, এটা কি পুরো মহিলা সমাজের জন্য অপমানজনক নয়? সে হয়তো গুরুতর খারাপ কাজ করেছে আর হয়তো তার মৃত্যু দন্ড প্রাপ্ত, কিন্তু তা কি আড়ালেই করা যেতো না? একজন মাঝ বয়সী নারী কে এভাবে…!
:O
মেয়েটা কি রিপ্লাই দিলো? বললো,
“আমার স্টাটাসের সাথে আপনার কমেন্টের কোন মিল-ই আমি খুজে পাচ্ছি না।”
– :/ অন্ধ কাকে বলে। জোর করে চোখ বন্ধ করে রেখেছে এরা।
কি জানি, এটাই হয়তো তার শান্তি, তার জান্নাতের পথ।
আমি লিখলাম, ও…তাহলে আমি পোস্ট গুলো ডিলিট করে দেই!
সে হাসি মুখে রিপ্লাই দিলো, “না থাকুক সবাই দেখুক।”
– :/ কত সিমপ্লি সে দেখে। পোস্ট গুলো ডিলেট করে দিতে চেয়ে আমি যে উম্মা প্রকাশ করেছি তাও তার বোধগম্য হলো না।
কি জানি ভাই। ফিলিং উইরড্।
আমি বলেছিলাম, চিন্তার করার জন্য লিংক গুলো দিলাম। (আসলে সে বাংলাদেশের রাজনীতি আর নারী নেতৃত্ব টার্গেট করে পোস্টটা দিয়েছিলো যেটা পরবর্তী বিভিন্ন কমেন্টে ক্লিয়ার হয়েছিলো) ফিডব্যাক দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো। সে এই পথে চিন্তাই করলো না। আর তাই বলতে পারলাম না, রানী এলিজাবেথ তাবত দুনিয়াকে শাসন করতো, জার্মানীর চ্যাঞ্চেলর নারী। এছাড়া আরো কত উদাহরন আছে নারীদের অগ্রগামীতার। তাদের বেধে রাখা হয়েছে তাই তারা পিছিয়ে। যেমনটা পিছিয়ে আছে কালো রা, সাদা দের থেকে। কেনো? কারন সাদারা তাদের দমিয়ে রেখেছিলো, সাদাদের দাস ছিলো তারা। থেমে ছিলো তাদের জীবন।
বললাম না। কি হবে বলে …! তার সেই ক্ষমতা নেই আমাকে কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করার মত রেজুলেশন তৈরি করা…!
9:37 pm
Lot of asking are lurking inside my mind, some are popped up others are floating. But why those asking are in my mind is a key and a clue!
S-1018-6|QUT|GP|BNC|AUS
খুব বেশি Pessimistic হয়ে যাচ্ছি। আমার অস্ট্রেলিয়ার সমগ্রসময় এর একটা সিংহ ভাগ সময় কেটেছে ধর্ম নিয়ে ভেবে…! আজও সারাদিনটা মাটি হলো। আনিস ভাই, আনিস হচ্ছে আমার ল্যাব মেট, বাংলাদেশি। রিলিজিয়াস পার্সন। গুড ম্যান। তার সাথে ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলি। আজ তা বেশি টুইস্ট করেছে। কাজটা ঠিক হচ্ছে না। হচ্ছে না। আমি কেনো ধর্ম নিয়ে ভাবছি। কি লাভ? এই যে বাংলাদেশে অনেকটা যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ধর্ম নিয়ে যারা ব্যাবসা করেছে তাদের সাথে কিছু বিকৃত মানুষের। আমার কি আসে যায়। সত্যিই কিছু যায় না। একদম না। মুড়ি খা।
সাধারন জীবনযাপন করাটার প্রথম স্টেপ হচ্ছে সাধারন ভাবে চিন্তা করা। কেনো সেই চিন্তা ধারায় থাকতে পারছি না…! এই যে এখানে একজন বাংগালী আছে, ছেলেটার নাম ‘ফ’ দিয়ে। সেদিন তার একটা ছবি দেখে আমি দুই মিনিট নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশে থাকতে ছেলেটা কোন একটা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচাররা তাবলীগ করতো তাই সে ও করতো। তার মুখে দাড়ি ছিলো প্রায় দেড় হাত লম্বা। এখন এখানে এসেই সে তো চেঞ্জ। দাড়ি তো নেই ই, আমাদের সাথে ৩১স্ট নাইটে সে যা করতে যাচ্ছিলো…! Yeah, this is the very effective and well proved step to get success, ‘when is Rome, do as Roman people do…!’.
Dear Diary,
Why I am thinking this bull shit, why..!
Do you know?
Yeah, you know that very much. You are a part of me, how can you deny? No way..!
Diary, my heart says, it is my fate intertwined with something – a Puzzle. Though, my heart forced me to believe it is a puzzle and saying to solve it but something(!) other also waving me and saying this as something else, something like a direction. This was very evident once and I was abide by this wave at that time.
(Oh..is this how the creator writes our fate. Is that how creator come across peoples life? Whether it was the creator, or mind complexion. How to define that phenomena I am going through. Who can explain?)
But yeah…I still also rely this feelings…but you know…it hurts, it hurts a lot. My melted soul is now revolting and challenging. He is persuading me to challenge this phenomena, tempting me, alluring me to break and disobey.
And here I am thinking, I am peeping in to the system, system made by the Islam…! And eventually can see the terrific picture of it. But, I know this is not Islam, and also doubting, may be…! How dilemma…!
জানি না, এর শেষ কোথায়। খুব বেশি আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছি। লিখতে গিয়ে চোখ ছলছল করছে। এ কি কোন পরীক্ষা…! কি এ? আমার মানসিক সমস্যা? ডিসটর্সোন? সুচিবাই? প্রিজুডিস? কম্পেক্সিটি? নাকি… ! I really donno. কিন্তু একটা জিনিস খুবই ভালো করে বুঝতে পারি, আমার ডিসিশন নেওয়ার সম্পুর্ন স্বাধীনতা আছে। আমি স্বাধীন।
এমনই সময় এই সত্যটা ধরতে পারছি তখনই মনে হচ্ছে কেনো আমি স্বাধীন। তুমি ঠিক করে দাও না। দাও, তুমি ঠিক করে দাও সব কিছু, তোমার মত করে। আহা্, কি এ মানব জীবন। শৃঙ্খলাবদ্ধে প্রতিবাদ, আবার সেই শৃঙ্খলকেই কামনা। (08:05 PM)
Leave a Reply