[মুখবন্ধঃ নোটটা লেখার পর এটার টাইটেল নামটা নিয়ে ভাবছিলাম, কি দেবো? কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করার পর প্রায় প্রতিটি বিষয়েই আমি দেখেছি ইনফরমাল একটা এপ্রোচ, Informal Touch. আসলে পরিবেশটা এমনই, ফ্রেন্ডলি এনভাইরনমেন্ট ছাড়া এখানে চলা আর চালানো প্রায় দুরহ। তবে, ধীরে ধীরে পরিবেশকে ফরমাল করতে হবে যেটা নিয়তির-ই একটা অংশ। তাই এই নোট-টি তে ইনফর্মাল ভাবে অনেক importantবিষয়ে আলোচনা করা হলেও আমি নোটটার একটা ফর্মাল নাম দিলাম। আমার উচিত ছিলো একটা ফর্মাল প্রগ্রাম করে স্টুডেন্টদের মতামত জানা আর বিদায়ী চেয়ারম্যানকে তার কন্ট্রিবুশনের জন্য Greet মাধ্যমে সন্মানিত করা। তবে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সেটা আমি করতে পারিনি। তাই এই ভার্চুয়াল জগতের মাধ্যমে কিছুটা প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করলাম।তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমি তেমন একটা প্রগ্রাম করার চেষ্টা করব। ]

শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেম হলো সর্বোত্তমভাবে নিজের কাজ করা।-দার্শনিক সক্রেটিস

১.
ইংরেজী বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েই শুরু করছি।

A very happy new year-2014, to you all.

আর ধন্যবাদ জানাচ্ছি তোমাদের সবাইকে যারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে Greetings জানিয়েছো। বুঝতে পারছি, এই শুভেচ্ছার সাথে তোমাদের কিছু প্রত্যাশা আছে। কেউ কেউ সেই প্রত্যাশার কথা সরাসরি বলেছ। খুব ভালো লেগেছে। আমি সত্যিই শুনতে চাই, শুনতে চাই তোমাদের কথা। আমি পারব না হয়ত, ধরে নিচ্ছি পারব না কারন পরিবেশ তো পরিবর্তিত হয় নি, তবুও আমার জেনে রাখা দরকার তোমাদের ভাবনাটা, প্রয়োজনটা।
এটা খুবই স্বাভাবিক ছিলো, দায়িত্ব নেবার পর তোমাদের সাথে কথা বলা, কিন্তু দেশের উদ্ভুত পরিস্তিতিতে সেটা সংগতকারনেই সম্ভব হয় নি। তাই তো Virtually তোমাদের সাথে আমার এই কথোপকথন। এই নোট-টার নিচে তোমরা তোমাদের প্রত্যাশার কথা লিখতে ভুলবে না যেন…!

402863_365615250181255_680277693_n
Snap from a cheered extra curricular program.

২.
এবার নিজের কিছু কথা বলি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় এসেছি অনেকটা মোহবিষ্ট হয়ে। তাই আমার স্বপ্ন গুলো গড়ে উঠেছে এই সংকল্পকে ঘিরে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমি আমার অনেক সময় দিয়েছি, কিছুটা পরিবর্তন সাধন করতে যেন একটা নুন্যতম পরিবেশ পাই যেখানে নিজের মত করে কিছু কাজ করব। প্রয়োজন বুঝেছি, প্রয়োজন মেটাবার জন্য প্রেসক্রিপশন তৈরি করে ফাইল বন্ধি করেছি আর সেই ফাইল নিয়ে অনেকের পিছু পিছুও ঘুরেছি…! এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিতে নির্বাচন করেছি এই প্রত্যাশায় যে যদি সবাই একটু সুনজর দেয়…! আমার/আমাদের প্রয়োজন কে দ্বার্থহীনভাবে উপস্থাপন করেছি, প্রয়োজনীয় সময়ে আবার কখনো কখনো অপ্রাসঙ্গীক জায়গায়, হয়ত অ্প্রাসাঙ্গীকভাবেও। কখনো কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত যে প্রসেস আছে, যা গ্রহনযোগ্য নয় এবং আমি খুবই অপছন্দ করি, তা-ও করে দেখেছি। কিন্তু একটা সময় মনে হচ্ছিলো, হলো না কিছু। পুরো সময়টা জীবন থেকে শুধুই নস্ট হয়ে গেলো। তবে সম্পুর্ন নিরাশার কিছু নেই, এক্কেবারে শেষে হলেও বিদায়বেলা ভিসি মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার্নেট আর যুগোপোযোগী ওয়েবসাইটের জন্য যথাক্রমে ৫ লক্ষ আর ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে গিয়েছেন আর বর্তমান ভিসি মহোদয় বিষয়টা খুবই প্রাওরিটি বেসিসে দেখছেন। আমি স্যারকে বলে এসেছি, আমি ভলেনটারি করে যাব, যখনই এই দুটি বিষয়ে আমায় ডাকবেন আমি চলে আসব।। তারপরও শুধু বাজেট না, ইমপ্লিমেন্টেশনটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাই তাকিয়ে আছি সামনের দিকে।
যাইহোক, সবকিছু অনুধাবন করে আমি মনেকরি বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজেস্ব গতিতে চলুক, কেননা আমরা এই গতির নিয়ামক না। বরং আমরা যেটা করতে পারি সেটা হচ্ছে একটা অলটারনেটিভ তৈরি করে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারি। কিভাবে করতে পারি, কি কি দরকার এটাই এখন বিবেচ্য প্রশ্ন।

৩.
দুটো জিনিস দরকার। এক-Work Force আর দুই-Finance. ডিপার্টমেন্ট-এ প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব আছে। সত্যি বলতে কি, without responsibility (charge of Chairmanship) আর with responsibility তে এই আমার মধ্যে অতিরিক্ত তেমন কিছুই যুক্ত হয় নি। আমাদের অফিস ব্যাবস্থায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী নেই। এই অর্থে আমার তেমন কিছু করার নেই। তবে হ্যা, তোমরা আছো। তোমরা কিন্তু খুবই ইফেক্টিভ ওয়ার্কফোর্স হিসাবে এক্ট করতে পারো। ডিপার্টমেন্ট জনবলের অভাব যেমন আমার জন্য নেগেটিভ, ব্যাপারটা কিছুটা হলেও তোমাদের কারো কারো জন্য পজেটিভ হতে পারে। কেননা তোমরা এক্ট করতে পারো। সবাই পারবে না, তবে যে চাইবে সে পারবে। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় ডিপার্টমেন্টে যেটা চাইলেও করা সম্ভব নয়। শিখে নেবার এ এক অপুর্ব সুযোগ।

ফাইন্যান্স, অর্থ, বা ব্যালেন্স যাই বলো। খুবই দরকার। খুবই। আমার এমন কথায় তোমরা হয়তো হাসছো। কেউ কেউ বলছো, এ তো জানা কথা। আবার অনেকেই ভাবছো, স্যার কি বলে (!), আমরা পড়তে এসেছি, পড়াশুনাই আমাদের কর্তব্য, টাকাপয়সার কথা আমরা ভাবতে চাই না।। শুনো, তোমাদের বলি, এই আমি, আমরা বিজ্ঞানের স্টুডেন্ট। ইলিমেন্টারি লেভেল থেকে সবচেয়ে ভালো পারফর্মার। প্রথম সারির স্টুডেন্টদের ছাড়া স্কুলে সায়েন্স দেওয়া হত না, অথচ আমরা কি শেষ পর্যন্ত সেই প্রথম সারির নাগরিক হতে পারছি? আমরা হয়ত নম্র ভদ্র আর মার্জিত থাকছি। ভালো স্টুডেন্ট হবার বদৌলতে দেশে কিছু কিছু ভালো জায়গায় চাকরি করতে পারছি আবার দেশের বাইরেও চলে যেতে পারছি। কিন্তু কি সবাই পারছি? না, তুলনামুলক ভাবে খুব-ই কম সংখ্যকই এটা পারছি, অথচ সবার-ই প্রথম সারীতে থাকার কথা ছিলো। থাকতে পারছি না কেনো জানো? কারন আমাদের পড়াশুনা ডাইভার্সিফাইড না। তোমাদের অনেকেই যারা ভাবো, টাকাপয়সা খুব ইম্প্ররটেন্ট একটা ব্যাপার না।
(আমি একটা সায়েন্সের সমীক্ষা থেকে এই মাইন্ডসেটটা ইউজ করছি। একটা স্টেজে আমাদের বেশিভাগ পরিবার তার সন্তানদের শিক্ষা দেয় যে মানুষ হতে হবে, সচ্চরিত্রবান হতে হবে। কিন্তু তারা সম্পদের প্রয়োজনটা শেখায় না, ভাবে লোভী হয়ে যাবে সন্তান। অথচ আমাদের উচিত পরিবার থেকেই সঠিক উপায়ে সম্পদশালী হবার ট্রেনিং দেওয়া)।
তারা একটা ভুল শিক্ষা পেয়েছো এই সমাজ/পরিবার থেকে। সম্পদ অবশ্যই প্রয়োজন বিশেষত এই জাগতিক দুনিয়ায় প্রয়োজন মেটাতে সম্পদ প্রয়োজন তবে হ্যা, অবশ্যই সৎ উপায়ে তা আরোহন করতে হবে।
অভারওল, আমাদের অবস্থান কোথায়? এটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। দেখো, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নেট সেবা সহ অন্যন্য প্রয়োজনীয় উপকরন অনুপস্থিত তার কারন অপ্রতুল বাজেট (অবহেলা অবশ্যই আছে)। বাজেট মানে, সেই টাকা। যেটাকে আমরা অনেকেই ইম্পর্টেন্ট ফ্যাক্ট মনে করি না বা পড়াশুনার উদ্দেশ্যর সাথে মেলাতে পারি না। অথচ দেখো, এই ফাইন্যান্স সার্কুলাইজেশনের জন্য ফাইন্যান্স নামে গ্রাডুয়েশন কোর্স আছে, আছে ইকোনমিক্স, আছে আরো অন্যন্য বিষয় যা থেকে ব্যালেন্সের গুরুত্ব আমাদের বুঝতে শেখা উচিত। যাইহোক, ডেভেলপমেন্টের জন্য এখন কিছু বাজেট পাশ হয়েছে, কাজ শুরু হবে আশাকরি।
তেমন-ই আমার ডিপার্ট্মেন্টে বাজেটের সল্পতা আছে, সাহসাই যার কিঞ্চিত  অংশ দুরভিত হবে আশা করি। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কাজ আমরা করে দিয়েছে যার পারিশ্রমিক হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের একটা ব্যালেন্স দিবে। তবে তা ও পর্যাপ্ত নয় একটা টেকিনিক্যাল ডিপার্টমেন্টের জন্য।
(লেখাটার এই অংশটা বেশ ইম্পর্টেন্ট, এটা মিক্সড মতামতের সৃষ্টি করবে আমি জানি। বিতর্ক হলে ক্ষতি নেই তবে খুব করে বিতর্ক করার আগে কারো কোন পয়েন্টে প্রশ্ন থাকলে জানানোর জন্য অনুরোধ করি।)

৪.
কথায় আছে, প্রথমে দর্শনধারী পরে গুন বিচারী। মার্কেটিং নির্ভর এই আধুনিকযুগে এটা মহা সত্য। আমাদের ডিপার্টমেন্টের ‘ব্রান্ডিং’ করতে হবে। এখনই এটা শুরু করতে হবে, নতুবা যারা গ্রাজুয়েশন শেষ করে জব মার্কেটে ঢুকবে, পরিচয় সংকটে পড়বে। তাছাড়া আমাদের ডিপার্টমেন্ট-এ ভালো ভালো রেজাল্টধারী স্টুডেন্টদের এডমিশন নেওয়াটা ধীরে ধীরে কমে আসবে।
ব্রান্ডিং না করলে এগুলো অবিশম্ভাবী Near Future। আর এমনটা ঘটবে ভাবলেই আমি শিওরে উঠি। তোমরা কি ভাবো?

৫.
ডিপার্টমেন্টে আমাদের একটা মাত্র ক্লাব আছে, Programming Club. এটা সতস্ফুর্ত নয়। এই ধরনের ক্লাবের একটিভিটিজ লিমিটেড। তাই প্রগ্রামিং ক্লাবের পাশাপাশি একটা IT Club করতে চাচ্ছি। যেখানে শুধু-ই আমার ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্টরাই নয়, সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টরা মেম্বার হতে পারবে।

৬.
আমার কিছু ‘মস্তান’ স্টুডেন্ট দরকার। 🙂
ভয় পেও না, রাজনৈতিক মস্তান না। একাডেমিক মস্তান। কিছু খুবই একটিভ Class Representative (CR), Teaching Assistant(TA) আর Volunteer দরকার। যারা ডিপার্টমেন্টের গতির ক্যাটালাইস্ট হিসাবে কাজ করবে। এ বিষয়ে আমি সবার মতামত নিবো আর কোয়ালিটি, আগ্রহ বিচার করে নির্বাচন করব।

৭.
In the meantime, অনেক গুলো দাবী এসেছে আমার কাছে। :), স্বাভাবিক। তবে একটা বিষয়ে আমি আলোকপাত করতে চাই, আর সেটা হচ্ছে সম্ভাব্য সেশনজট। ডিপার্টমেন্টে দুটি ব্যাচে সেশনজট আছে, আর দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সব ব্যাচেই কিছু জট লাগবে। এই বিষয়ে আমি কিছু শর্ট টার্ম মেজারস নিবো, যার একটি অংশে তোমাদের রোল আছে। সময় হলে এই বিষয়েও বিশদ আলোচনা করব।

However,
That’s all for this time. I hope you people read this post which I have written for you, my students. And if you have any Idea, observation, demand or even thought don’t forget to type below this post.

Lets have sing this song…

FB তে মন্তব্য করতে এখানে লিখুন (ব্লগে করতে নিচে) :

63 Responses to Note from the desk of the Chairman

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

April 2024
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930