প্রিয় ডায়েরী,
সময় আসছে আর যাচ্ছে, More precisely সময় চলে যাচ্ছি বুঝতে পারছি কিন্তু কখন যে আসছে তা পারছি না। কাজের গতি এতটাই বেড়েছে, ‘নাভিস্বাস’ শব্দটা তা প্রকাশেও অস্বয়ংসম্পুর্ন। তবে সবচেয়ে সমস্যাটার নাম মানসিক স্বাস্থ্য। এতটাই দুর্বল সে…! কি অদ্ভুদ জীবনের ঘোরপ্যাচ। I should let it free..! But couldn’t. How come..! I don’t know the process..pity I am.
সাইকোলজির একটা পার্ট হচ্ছে বিহেভিরাল সাইন্স। সংক্ষেপে বলে BS. আমি কিছু দিন হলো বিহেভিরাল সাইন্স নিয়ে পড়ছি। আমি একটা সিরিয়াল দেখতাম বাংলাদেশে, বেশ ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম সেটার; নাম The Mentalist. মুভিটা সাইকোলজি নির্ভর। তবে বেশ একুইট, তাই Petrick কে সাইকিক ও বলতো সবাই। তবে, এই মুভিটার মুল উপজিব্য ছিলো সাইকোলজি, More specifically BS, মানে বিহেভিরাল সায়েন্স।
কিন্তু সময় পাচ্ছি না। সময় পেলেও কাজে লাগাতে পারছি না। বেশিভাগ সময়ই ব্রেইন হ্যাং হয়ে থাকে রিসার্চের টপিক নিয়ে। কি বলা যায়… :/
⇒
Anyway, with the advancement of technology people are getting more connected, I have received a What’s Up message a couple of days ago that astonished me. আমার অফিসের পিওন করিম মেসেজ পাঠিয়েছে। আমি বেশ অবাক হয়েছি। দুনিয়াটা সত্যিই হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। সবাই খুবই ক্লোজলি কানেকটেড, আচ্ছা এই ক্লোজ কানেকশন কি সবাইকে কাছে নিতে পারছে? কি জানি…! আচ্ছা দেখি করিম কি লিখেছে, আর BS এই বিষয়ে কি বলে,
করিম লিখেছে সে আমাকে মিস করে।
সে কি সত্যি আমাকে মিস করে?
মিস করাটা বেশ আপেক্ষিক। ও কেনো করবে? এটা আসলে একটা কার্টেসী। এই যেমন সালাম দেওয়াটা কার্টেসি, দূরে চলে গিয়েছে এমন কাউকে এই কথাটা বলাও আমাদের দেশে একটা কার্টেসী। ইনফ্যাক্ট, করিম সালাম দিয়ে তার কনভার্সেশন শুরু করেনি যেটা তার স্বাভাবিক প্রোটকলের ভিতরে পরে। (নতুন ধরনের যোগাযোগ মাধ্যমে এই একটা ব্যাপার ফুটিয়ে তুলেছে, আমি দেখেছি আমার স্টুডেন্টরা প্রথম দিকে আমাকে Chatting site এ Hi দিয়ে শুরু করতো, অথচ ওরাই স্বাভাবিক ভাবে সামনা সামনে এক দেখাতেই তিন চার বার সালাম দিতো। তাহলে মাধ্যম অনুসারে ব্যবহার পরিবর্তিত হচ্ছে।) করিমের ‘মিস’ করা লেখাটা তাহলে পরিবর্তিত মাধ্যমের কার্টেসি…!
আমার প্রশ্নের উত্তরে করিম আবার লিখেছে, আমি চলে আসার পর নাকি অফিস ভালো চলছে না। আমি অফিস সম্পর্কে খবর পাই। আমি যখন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেই বেশ সুইং শুরু হয়েছিলো। সেটার প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিলো। আমার খুব মনে আছে আমাদের গতির কারনে ভালো প্রভাবের পাশা পাশি মিক্সড প্রভাব ও পড়েছিলো, যেমন, সি এস ই ডিপার্টমেন্টের টিচাররা চাপে পড়েছিলো। তাদের স্টুডেন্টরা তাদের ডিপার্টমেন্ট ঢিমে তালে চলার কারনে ফেসবুকে বেশ এলোমেলো কথা লিখতো। এটা খুবই খারাপ লক্ষন। কিছু লেখা ছিলো ফেক আইডি খুলে। এটা একটা বাজে ইন্ডিকেশন।তবে এটা শুরু হয়েছিলো আই সি টির গতির কারনেই, কারন তারা কম্পারিজনে দেখতে পেয়েছিলো তাদের পিছিয়ে থাকাটা। দুঃখজনকভাবে সেই বাজে ইন্ডিকেশোন এখন আই সি টি তে। স্টুডেন্টরা ডিপার্টমেন্টের অসন্তষ নিয়ে লিখছে। এমনই একটা লেখায় সেদিন আমি কমেন্ট করেছি। ইচ্ছা করেই করেছি। Let it be a record. (তারা কি কম্পারিজনটা এখনো আমার সময়কে ঘিরে করে যেটা করিম বোঝাতে চেয়েছে?)
কিন্তু, করিমের ভালো খারাপের বিষয়টা অন্যরকম হওয়া উচিত, সে তো আর স্টুডেন্ট না। অধিকন্তু ডিপার্টমেন্ট ঢিমেতালে চললে তার সুবিধা হবার কথা। আমার টার্মে তাকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। তাই, ও এটা লিখেছে আমাকে পার্সুয়েড করার জন্য। ‘আমি চলে আসার পর ভালো চলছে না’ এই কথাটার প্রভাব অনেক। সে আমাকে বোধহয় এটা বলে প্রভাবিত করতে চেয়েছে। ইনফ্যাক্ট, আমি চলে আসার পর ভালো কিংবা খারাপ হবার কথা নয়। Who Am I?
⇒
বাংলাদেশ এখন হয়েছে হীরক রাজার দেশ। যার হাতে অস্ত্র আছে, যার হাতে ফাইল আছে, যার অফিসে টাকা আছে সবাই তার খেয়াল খুশি মত স্বদ ব্যবহার করে যাচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পদের অবনমন নিয়ে আমি বেশ চিন্তিত হয়ে ফেসবুকে টুকটাক লিখালিখি করলাম। তো সে দিন হঠাৎ একটা লেখা পেলাম কেমন যেন একটু কি বলতে চায়। ছেলেটাকে চিনি না, তাই তাকে একটা ব্যাখ্যা দিয়ে জানতে চাইলাম, কে সে। প্রতি উত্তরে সে যা জানালো, সে আমার ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র এবং সে ‘একসময়’ আমাকে ফলোও করতো। এর অর্থ দাঁড়ায় এখন আর করার প্রয়োজন হয় না। সে ম্যজিট্রেট হয়েছে তাই দরকার হয় না…!
Behavioral Science কি বলে?
সে আমাকে কেনো ফলো করতো?
আমি ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই তাই সে করতো? ডিপার্টমেন্ট তো আরো বড় আছে, তাদের কেনো করতো না, কিংবা করতো কি? কত জন মানুষকে ফলো করা যায়, বা কত জনের কাছে প্রকাশ করা যায়- আমি আপনাকে ফলো করি/ফলো করতাম? একাধিক?
সে ডিপার্টমেন্টের টপ রেজাল্ট ধারী ছিলো না এটা নিশ্চিত, তারপরেও কেনো করতো? সাধারনত ডিপার্টমেন্টের টপ রেজাল্ট ধারীরা আমাকে অনুকরন করতো আমি জানি, কেউ কেউ ব্লাইন্ডলি করতো, এই গন্ডীটা আমার ডিপার্টমেন্ট ছাড়িয়ে ও অন্য ডিপার্টমেন্টের স্টূডেন্টের ভিতরেও ছিলো। তবে তারা কেনো করতো তা খুবই পরিস্কার, ভালো রেজাল্টের জন্য করতো।
কিন্তু এই ছেলেটা কেনো করতো? হুহ্, এখন আর দরকার হয় না…!
Yes, this is what I am now….!
পুনশ্চঃ BS বলে এই ছেলেটা কখনো সুযোগ পেলে আমাকে হিউমিলিয়েট করার চেস্টা করবে। কারন বাংলাদেশের প্রচলিত এটিকেটের অংশ হিসাবে সে একসময় ইওফিরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভুগবে। ধীরে ধীরে সে একটা সোস্যাল গারবেজে পরিনত হবে।
So, Should I let him do that?
8:15 PM, Brisbane.