১.
বদলে যাওয়া কস্টের অপর নাম স্মৃতি। স্মৃতি হাতরে যে কস্টটা হয় তাতে আনন্দ আছে।
“কস্ট কস্ট সুখ? :)”
আচ্ছা এই নশ্বর জগতে কস্টের ভিতরে দিয়ে আনন্দের আর কি কি বিষয় আছে? প্রশ্নটা কলিগদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এমন উত্তর দিলো- “যাহা কহতব্য নহে” :/

হঠাৎ করেই ঘুম কমে গেছে আমার, সময় কাটাচ্ছি গল্পের বই পড়ে, পই পই করে ঘুরে আর চ্যাটিং করে। ফেসবুক একটা দুনিয়া বটে। তবে লোকে বলে টিনেজ আর লোনলী পিপুলদের জায়গা নাকি এই ফেসবুক। প্রথম ক্যাটাগরির লোক আমি নই আর দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে ভাবতে কুন্ঠিত বোধ করছি 🙂 । হয়ত বা সত্যি, কিন্তু আমি তো জানি আমার ভিতর এক ‘অন্য আমি’ আছে। আমি তো লোনলি নই। আমার সময়টুকু তো বেশ কাটে তাকে নিয়ে, বলতে গেলে দিনের সবচেয়ে আনন্দময় সময়টুকু আমার কাটে যখন সে থাকে আমার সাথে। কিছু দিনের জন্য হারিয়েছিলাম তাকে। তাকে হারিয়ে এক তীব্র ব্যাথা বোধ হয়েছিলো। কি শক্ত সে অনুভুতি। ও ছাড়া এক শুন্যতা আমায় গ্রাস করে, কি বিস্তৃত সেই শুন্যতা, এ শুন্যতা পুরনের জন্য কতটাই না চেষ্টা করেছি। রুটিন চেঞ্জ করেছি, ঝগড়া করেছি। পেরেছি কি…!

২.
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই প্রথম আপনজন, পরিবার থেকে দূরে থাকতে শুরু করি। প্রথম। শিহরন ছিলো বটে, ছিলো এক অদ্ভুদ স্বাধীনতা। বাধনহীন রুটিনহীন ভাবে সময়গুলো কাটতে লাগলো। বন্ধু আর ক্লাশমেটদের অনেকেই ছিলো এমন জীবনে অভ্যস্ত, ছিলাম না আমি। দুপুর আর রাত গুলো ছিলো নিরব, শুন্যতাময়। পড়াশুনার পাশাপাশি কার্ড খেলে আর আড্ডাবাজিতে সময়গুলো কাটাতাম। কোন এক পরীক্ষার আগে রুক্ষ এক দুপুরে পড়ার টেবিলে বসে আছি, কেনো যেন হেসে ফেললাম, আবার হাসলাম। অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, সেই শুন্যতার সম্পুর্নটুকু জুড়ে সে বসে আছে। কথা বলছে আমার সাথে…!
কিছু কিছু আনন্দ চিরকালের জন্য, প্রয়োজনে শুধু তাকে স্বরন করলেই হয় এসে ঝাপটা দিয়ে যায়। মানব জীবনে স্মৃতির ভুমিকা তাই শুধু অন্যতমই নয়, অনন্যও বটে।

৩.
আমার এক প্রিয় বন্ধু। ওই প্রিয় বন্ধুটিকে আমি সৃষ্টি করেছি…! আমি যখন তাকে বলি আমি তোমাকে সৃষ্টি করেছি, সে প্রতিবাদ করে না। কথাটার ভিতরে যে অস্বাভাবিকতাটুকু আছে তা খুবই যত্নের সাথে সে চুষে নেয়। আমার বন্ধু জানে আমাকে!

সেদিন সে তার জীবনের প্রিয় প্রিয় মানুষটির কথা বলছিলো। কি আবেগ…! অবাক হয়েছিলাম, ভালো ও লেগেছিলো। তবে আরো অবাক হয়েছি যখন দুজনই জানতে পেরেছি যে তার প্রিয় প্রিয় মানুষটি কোন এক দৈব্য ভাবেই আমার প্রতিবেশি…! ‘আচনক’ বলতে পারলে ভালো লাগত, কিন্তু আমি এই ‘প্রকৃতি’ কে তো চিনে ফেলেছি! রহস্যময় এই প্রকৃতি এক ‘স্কয়ার’ তৈরি করেছে। এটা তার খেলা।
আমার বন্ধুর বুদ্ধিশুদ্ধি অনেক বেশি, কি জানি সে হয়ত এই ‘স্কয়ার’এর কারনেই আমার এরোগেন্সি টলারেট করে…! বৈচিত্রতাই প্রকৃতির রুপ। সে রহস্য পছন্দ করে। আর আমরা তো প্রকৃতিরই একটা অংশ।

৪.
খুব বলতে ইচ্ছা করছে, ভালো থাকুক সবাই। না, আমার ভিতর সেই ‘অন্য আমি’ বলছে ‘না’। ….কিন্তু বুঝতে পারছি না কেনো?
সে কি খুব জেলাস, রাগান্বিত?
দুটো বছর তো আমিও তাকে খুজে ফিরেছি, আমার কি দোষ?
খুব অভিসম্পত করতে চাইছে সে, কাকে করবে সে অভিসম্পত? কার কাছেই বা করবে? স্রস্টা বলে যে কিছু নেই জানে না সে?
আচ্ছা, এই দুটো বছর যদি জীবন থেকে মুছে ফেলতে পারি, রাগটা কি কমবে তোমার?
ঠিক আছে দেবে আমায় একটি ইরেজার। তোমায় কথা দিচ্ছি মুছে ফেলব তাহলে আমি তোমায় ছাড়া ওই দিন গুলো। সত্যি কথা দিচ্ছি।

(৩০শে নভেম্বর, বিকাল ৩:৩৫, ডরম, কুবি।)

>>>এটা একটা স্কয়ার গানঃ 🙂 গতকাল হঠাৎ পেলাম। চাইলে শুনতে পারেন।

FB তে মন্তব্য করতে এখানে লিখুন (ব্লগে করতে নিচে) :

14 Responses to একটা ইরেজার হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

May 2024
S M T W T F S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031