কিছু উর্দু আর আরবী শব্দ মুখস্ত করে  তথাকথিত ধর্ম  চর্চা করে নিজেদের যারা বড় ধার্মিক বলে আর ধর্ম রক্ষায় অস্ত্রহাতে ঘুরে বেড়ায় কিংবা রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দেওয়া আর অবসরে চটি পড়া অধার্মীক যারা নিজেদের প্রগতিশীল হিসাবে দাবী করে উভয়ই আমার দৃস্টিতে সমান।
দুই ধারাই ভ্রান্ত আর মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ।

একটি রাস্ট্রের দায়িত্ব এই সকল বিকারগ্রস্থ লোকদের সু-চিকিৎসা করানো। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার আপাতদৃষ্টিতে তা করছে না। প্রশ্ন হচ্ছে কেনো?
এই প্রশ্নের অনেকগুলো উত্তর আছে।
কেনো চাপাতি হাতে বেরিয়ে আসা অন্ধ ধার্মিকদের সরকার প্রতিহত করছে না, সরলমনে প্রধানমন্ত্রী পুত্র এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। অশিক্ষা-কুশিক্ষায় জর্জরিত বাংলাদেশে এদের সংখ্যা এতই বেশি যে বিষয়টা এখনো ‘সেনসিটিভ’।  কিন্তু অর্ধ শিক্ষিত একটি ছেলে নিজেকে প্রগতিশীল বলে একটা ময়লা ছেড়া গন্ধযুক্ত ঝান্ডা উড়িয়ে ঘুরছে কেনো সেটার ব্যাখ্যা কেউ দিয়েছে বলে আমার জানা নেই।

তবে এই গোলমালের দিকে যখন সবার মনোযোগ, অত্যন্ত সুক্ষভাবে রাস্ট্র ব্যবস্থা  বুর্জুয়াদের হস্তগত হচ্ছে। বুর্জুয়া মানে শোষক, অহমিকায় ভরপুর অধিপতি ও তথাকথিত আধুনিক শ্রেণী। যারা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বুকের ওপর ক্ষমতার রাজপ্রাসাদ তৈরি করে।

বৈধ পথে কালোবাজারী, জনতাকে জানিয়ে হাজার কোটি টাকা ব্যাংকডাকাতি কিংবা দায়িত্বের কথা বলে শুল্কমুক্তগাড়ি, ডুপ্লেক্স বাড়ী। আবার কখনো কখনো নিজেদের রাস্ট্রপ্রতির সমকক্ষভাবা কিংবা অপরাধ করেও আইনের উর্দ্ধে নিজেকে উঠিয়ে নেওয়া, রাস্ট্রিয় ক্ষমতা ব্যবহার করে সন্মানিতদের সন্মান হরন করা আর নিজেদের ভিতর এক এলিট বলয় তৈরি করা,  কেনো যেন মনে হয় এই সবই সেই প্রবাহের দৃষ্টান্তস্বরুপ।

কিন্তু আজ যারা এই শ্রেনী তৈরি করছে তাদের পরবর্তী প্রজন্মও যে এই শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত হবে সেই গ্যারান্টি কি আছে? সবার গায়ের রঙ ই সমান, ব্রিটিশ শাসনামলেরর মত কালোদের ভিতর থেকে সাদা চামড়া কিন্তু আলাদা করা সম্ভব নয়, ভবিষ্যতেও হবে না।
তাই করতে গিয়ে ভাবতে হবে, ভাবতে হবে পরবর্তি প্রজন্মের জন্য কেননা প্রকৃতিই সব কিছু ফিরিয়ে দেয়, না চাইলেও সব ফিরে ফিরে আসে।
ভালোবাসুন দেশকে তাহলে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যেতে হবে না।

 

কেন যে এমন হয়। সেলফ কনট্রল নেই। নেচারাল কিছু বিষয় মানুষ ক্যারি করে। এগুলো বড়ই আন রেগুলেটেড। ফিলিং ডাম্প। 🙁

FB তে মন্তব্য করতে এখানে লিখুন (ব্লগে করতে নিচে) :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

June 2023
S M T W T F S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930