১৩ই মে, ২০১৫, ব্রিসবেন
সম্প্রতি ওজি ইংলিশ প্রক্টিসের জন্য আমি একটা অজি সিরিয়াল দেখা শুরু করেছি। ইনফ্যাক্ট এরা কি কয়(!), বুঝি না। :/ তাই সিরিয়ালের সাহায্য নেওয়া। র্যনডমলি কয়েন করে ইউ টিউব থেকে সিরিয়ালটা দেখা শুরু করি। নাম Puberty Blue. প্রথম পর্বটা ভালোয় ভালোয় দেখে দ্বিতীয় পর্ব থেকেই আমি যারপনাই কিংকর্তব্যবিমুঢ়। প্রতিদিন দেখছি, কখনো হাসছি, কখনো কাদছি…!
প্রথম প্রথম ভেবেছি…ওয়াও ম্যান, অজিস্ আর ইম্পোসবিল…! কিন্তু দেখতে দেখতে হঠাৎ করেই আমি লক্ষ করলাম ওরা যা দেখাচ্ছে ঠিক এই রুপটাই ট্রুলি আমি আমার সমাজে দেখেছি। আমি দেখেছি সেই নাইন্টিজ এ, আমার চারপাশ ঘিরে এমনই তো ছিলো। হাইড ছিলো, সবাই জানতো না। জানলেও যার যারটা সে সে লুকিয়ে রাখতো। ব্যাপার গুলো যতোটাই প্রাইভেট ছিলো তার থেকে বেশি ছিলো সিক্রেট। কিন্তু অজি সমাজে বিষয়গুলো ওপেন, আর এটাই পার্থক্য…!
এই যেমন, এই সিরিয়ালে দেখায়, বয়ফ্রেন্ড Girlfriend এর Parents এর অনুপস্থিতিতে Girlfriend এর বাসায় এসে ডেটিং করছে দেখতে পেয়ে ফাদার যখন অস্থির হয়ে বলে
– F**K…She is my kid, ..She is my little girl.
মাম তখন ফাদারকে বকা দিয়ে বলে-
Bloody hell…She is a sexually active grown lady, she has the right to enjoy her sexually adventurous life..! You grow up..!
হা হা হা,
তবে এই সিরিয়াল দেখতে দেখতে আমার কিছু সেভিংস নিউরন, যাদের কাজ স্মৃতি সংরক্ষন করা এবং যারা সিক্রেটলি ডরমেন্ট ছিলো তারা ছুটাছুটি শুরু করে দিলো। আমি অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, এখানে যা দেখাচ্ছে তা আমি লাইভলিই দেখে এসেছি। তবে এই ঘটনায় আমাদের সমাজে Parent থেকে শুরু করে জড়িত সবাই-ই বিষয়গুলো চেপে যেতো। বিভিন্ন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সিক্রেট নিউরনে সেগুলোকে Quarantine করে ফেলতো। Actually, shit happens everywhere, but the dealings are some what different…!
আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলো ‘আর’
(আমি অবশ্যই সংশ্লিস্টদের নাম প্রকাশ করতে পারি না। অন্যের হাইবারনেটেড নিউরনগুলোর প্রতি আমার সন্মান প্রদর্শন করা একান্তই কর্তব্য 😉 )
ছেলেবেলার আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলো সে। ইনফ্যাক্ট সে আমার থেকে বয়সে এক কি দুই বছর বড় ছিলো তবে তার থেকেও সে মেন্টালি আমার থেকে ডিকেড ডিস্টেন্সে ম্যচিউওর ছিলো। আমার ‘আর’ বন্ধুর সাথেই প্রথম জীবনের প্রথম প্রথম সব মিসডিড গুলো শুরু হয়।
এই যেমন প্রথম সিগারেট খাওয়া। দৃশ্যটা এখনো চোখে ভাসে। খুব খুব ছোট বেলার কথা, তখন ওয়ান কি টু তে পড়ি। ও আমার এক ক্লাস উপরে পড়ে। একদিন দুপুর বেলা বাসার সামনে বড় নারকেল গাছটার নিচে প্রথম সিগারেট খেলাম। ও ওর আব্বুর পকেট থেকে চুরি করে নিয়ে এসেছিলো। স্মৃতিগুলো বড়ই উজ্জ্বল। নারকেল গাছের গুড়ি সেই দুপুরের চোখে এখনো দেখতে পাচ্ছি। সবাই দুপুরে ঘুমিয়ে, ‘আর’ একটা সিগারেট আর দেয়াশলাই নিয়ে আসলো, ধরালো আর আমরা টানতে শুরু করলাম…!
আমি সিগারেটের তীব্র গন্ধে পেরে উঠিনি। দু তিন টা টান দিয়েছিলাম হয় তো। তারপরেও সন্ধায় সাফা, আমার বোন কি করে যেনো বুঝে গিয়েছিলো। At that time, she had a close eye on me. In-fact she was my guide/my mentor, though she demanded I was her tail, grrrrrrrr……..anyway…! 🙁
সিগারেট খাওয়াটা ওই প্রথম ওই ই শেষ। আমাকে দিয়ে সিগারেট-টা হয় নি। ইনফ্যাক্ট আমাদের বাসায় কেউ ই খেতো না। আমার আব্বু কিংবা ভাইয়া। তাই ব্লাডে ছিলো না মানে টান অনুভব হয় নি…(যুক্তিটা যুতসই হলো না :/ ) কিন্তু ঘটনা সত্য। আমার বন্ধুর আব্বু ছিলো চেইন স্মোকার, স্বভাবতই বন্ধুও হয়েছে শিকল ধুমপায়ী। আর পিতাকে এই দৌড়ে পরাজিত করতে সে নিকোটিন এর সম্পুরক আরো অনেক টিনেই নিজেকে অভ্যস্ত করে তুলেছিলেন। যাইহোক এই গল্প পরে করি…!
__
আমি সিগারেট না খেলেও আমার লিপস কালারটা বিভ্রান্তকর। সিগারেট খায় যারা তাদের মত কিনা জানি না তবে যথেস্ট পৌরষত্বময় 😉 । তাই বন্ধু মহলে কিংবা নতুন বন্ধুবৎসলদের কাছে সব সময় একটা সুযোগ নিতাম, কেউ সিগারেট এগিয়ে দিলে বলতাম, নারে দোস্ত ছেড়ে দিয়েছি। ওরা আমার দিকে তাকিয়ে কথাটা বিশ্বাস করতো আর না খাওয়ার দরুন টিজ করা কিংবা দুর্বল ভাববার সুযোগ পেতো না। আফটারওল, আমাদের সময়ে সিগারেট খাওয়া একটা নায়োকচিত বিষয় ছিলো বটে…!
__
(চলবে…)