৮/২, রচেস্টার টেরেস, কেল্ভিন গ্রোভ, ব্রিসবেন
সকাল ৪ টা বেজে ৪২ মিনিট

Dear Diary,
হঠাৎ করেই আমার ঘুমটা কমে গেলো। ঘুম কমে গেলে অনেক সমস্যা হয়। আবার কিছু কিছু বিষয় আছে, ভালো বলা যায়। এই যেমন আজ আমি এখন বাসার বাইরে বসে সুর্যোদয় দেখছি। তাকিয়ে আছি সামনের সু-উচ্চ বিল্ডিঙ্গের ওপাশ থেকে ছড়িয়ে পড়া আলোর দিকে। ঘুমিয়ে থাকলে কি পারতাম। এইসময়টাতে ঘুমনোর মজাটা তো সবচেয়ে বেশি। আচ্ছা মজা আর আনন্দ কি একই জিনিস?

মাঝে মাঝে এমনই হয়, ঘুমটা যায় কমে। এক্সাইটমেন্টের সাথে এটার একটা সম্পর্ক আছে। আমার ব্রেইন খুব এক্সাইটেড। আসলে যে কোন ধরনের ডিসকভারিই একসাইটিং, I wish I could discover only good things around me, or alas..! if all goods would happen around me. (SIGH)
আমি একটা পোরটাইপ পারসোনালিটি। মাঝে মাঝে নিজেকে মেনটালি হ্যান্ডিক্যাপ লাগে। শালা, চারপাশে তাকিয়ে দেখি সবাই কি করে। সবাই খুব প্রাকটিক্যাল। অবস্থা, খুব ন্যাচারালি বুঝে। আমার বুঝতে সময় লাগে। যেমনটা পড়া মুখস্ত করতে সময় লাগে কিংবা বন্ধুত্ব করতে।
হা হা
টিউব লাইট টাইপ বলা যেতে পারে।
কিন্তু কিছু কিছু বিষয় আমি দ্রুত বুঝতে পারি। এনালাইটিক্যাল এবিলিটি আমার বেশ ভালো। আমি কোন একটা বিষয়কে চারপাশ দিয়ে দেখতে পারি, কনক্লুশন টানতে পারি যা বেশি ভাগ সময়েই সত্য হয় কিংবা ভবিষ্যত বলে দেয়।
কি জানি, আমার মতো সবাই-ই হয়তো এটা পারে।

গতদুদিন ধরে আমি চিন্তা করছিলাম আহা, আমি যদি কারো কাছে অভিযোগ করতে পারতাম। আমার কিছু অভিযোগ আছে করার। কিন্তু খুজে পাচ্ছিলাম না কাকে করবো? দু-জন মানুষের কথা ভেবেছিলাম, তাদের কাছে করা যায়। খুব অবাক হয়ে লক্ষকরলাম, তারা নিজেও একই দোষে দুস্ট…! তাহলে, তাদের কাছে করে কি হবে। বরং, তারা রায় দেবে এটাই স্বাভাবিক। তুমি অস্বাভাবিক।
ভেবেছিলাম, প্রভুর কাছে বলবো কিন্তু, আমার প্রভু তার অবস্থান নিয়ে নিজেই চিন্তিত। (–এই কথাটা লিখিত আকারেই রইলো। প্রভু যদি অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন হয় তাহলে সে দেখবে নিশ্চিত…!)

(চারিদিকে আলো ফুটে এসেছে, পাখি ডাকছে। ব্রিসবেনে এসে অনেক ধরনের পাখি দেখেছে। এদের বেশির ভাগই আমার অজানা। কিন্তু সকালের কলতানে যেনো সেই চেনা সুর ভাসছে।)

আমি একটা জিনিস নিয়ে বেশ কিছু ক্যালকুলেশন করেছিলাম। ম্যাপিং করেছিলাম, ড্র করেছিলাম বেস্ট কেস স্টাডি, আর worst কেস স্টাডি। বেস্ট কেস ঘটবে বলে আশায় বুক বাধতাম। মনকে বলতাম, প্রভুকেও বোধহয়। তবে ওস্ট কেস কে অবজারভেশনে রাখতাম।
নির্মমভাবে Worst কেস টার প্রতিফলন ঘটতে দেখে এখন হজম করতে কস্ট হচ্ছে।
আহা, Worst কেস স্টাডিটা যদি না করতাম তাহলে আর এটা দেখতে হতো না। মানসিক ভাবে এতটাই……অবশ্য প্রভু-র অবস্থান যখন শক্তিশালী ছিলো সে বোধহয় আমাকে কিছু ক্লু দিয়েছিলো। সে ক্লু দেয় কেনো? সে তো নাকি নিয়ন্ত্রন করে। আজব…!
হা হা, বোধহয় সে সুত্র মেনে চলে, নতুন করে রি-রাইট করার ক্যাপাবিলিটি নেই তার। একটু হেসে নেই দাড়াও… হা হা হা
ব্যাটা বুজরুক।

(ঘু ঘু- র ডাক শুনতে পাচ্ছি। এখানের কোন পাখিই ভয় পায় না, ভয় কি তারা জানেই না। পায়ে পায়ে চলে। এই ঘু ঘু, বাংলাদেশে সবচেয়ে সাবধানী পাখি, অথচ এখানে সাবধান হতে যেই জেনেটিক এলাইনমেন্ট দরকার তা তাদের মধ্যে অনুপস্থিত। একটা বকের মত বড় ঠোটের পাখি আছে, নাম আই-বিস। এটা তো হেটে হেটে বেড়ায় পুরোটা শহর জুড়ে। হোটেলে ঢুকে যায়। তাও কেউ তাকে বকা দেয় না। বকা দিয়ে বা তাড়িয়ে দিতে আসে না। শুধু হোটেল গুলোতে একটা সাইনবোর্ডে লিখে রাখে, Please don’t feed i-bis..!. That’s all. আজব এখানকার সব কিছু।)

আমি জানি খুব কঠিন সময় আমার জন্য অপেক্ষা করছে। অথচ এই তিনটি বছর সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে স্বপ্ন পুরনে কাজ করার ইচ্ছা ছিলো। অধির আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম, বাধনহীন এই গবেষনার জীবনটার জন্য। হাহ্‌, কি ভাবি আর হয় কি…! শালা মাদার…**

এবার রীতিমত রোদ উঠে যাচ্ছে। গাড়ি চলার শো শো আওয়াজ ভেসে আসছে। এগুলো যেনো জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনারগুলোর মত একই রকম, খুব পরিবর্তন নেই।

যাহ, কিচ্ছু ভাল্লাগে না। ফা*র শালা।।

( এটা আমার তরুন বয়সের একটা ফেভারিট গান। আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগে এমনই সকাল বেলায় হয়তো এইগানটা ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতো আর আমি একের পর এক বইয়ের পাতা উলটে যেতাম…! How time does fly..How….!)

FB তে মন্তব্য করতে এখানে লিখুন (ব্লগে করতে নিচে) :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

November 2024
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930