১.
বাবা কেমন আছো?
আমার কথা মনে পড়ে না, তাই না…মনে পড়লে তো ফোন দিতে, কই দাও না তো। এখন তো আরো অনেক দূরে চলে গেছো।
—হ্যা দিও মাঝে মাঝে ফোন।
আর শুনো, নামাজ পইড়ো।
—নামাজ পড়ো তো ঠিক মতো?… হ্যা ঠিক মতো পইড়ো। কোরান শরীফ পইড়ো।
আশেপাশে কোন মুসলিম নেই?…ওদেরও নিয়ে যাইয়ো।
—-..এই তো, দুই সপ্তাহ হবে, কেলভিন গ্রোভের অফিস থেকে রাত একটার দিকে বাসায় ফিরতে ফিরতে বাংলাদেশে ফোনে কথা হচ্ছিলো। কথা হচ্ছিলো আমার খালামনি, আমরা তাকে ডাকি আফরোজা খালা, এর সাথে। ফোন রেখে দেবার পর আপন মনে ভাবতে ভাবতে আসছিলাম। আমার খালামনির সাথে যখনই কথা হয়েছে তখনই তিনি নামাজ পড়ার কথা বলেনি এমনটা হয় নি। তিনি সব সময়ই আমাকে নামাজ পড়ার কথা, কোরান পড়ার কথা বলেছেন। তাই আমি হাটতে হাটতে ভাবছিলাম তিনি কেনো এই কথা বলেন? কেনো তিনি নামাজের কথা বলেন, এটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত। তার তো প্রভু নেই, কোন কালে ছিলোও না, সে কেনো নামাজের কথা বলে প্রভুর স্বরনাপন্ন হতে বলছে…! থেকে থাকলে কি দিয়েছে প্রভু তাকে?

বুদ্ধি হবার পর থেকেই দেখে আসছি, আমার আফরোজা খালা শষ্যাশয়ী। কত বয়স ছিলো তার যখন আমার বুদ্ধি হয়। ২০ বছর,বড়জোড় হবে ২৫। তখন থেকেই তিনি বিছানায়। এমন রোগে তিনি আক্রান্ত যার কোন রেমিডি নেই…! এই মহিলার একটা বিবাহ হয়েছিলো, যে কোন কারনেই সেই বিবাহটা ভুল ছিলো। ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়, এর পর থেকেই তিনি ব্যাধিতে আক্রান্ত। হাটতে পারে না। খালাম্মাদের ভিতর তিনিই নাকি সব চেয়ে সুন্দর ছিলেন। কথাটা মিথ্যা নয় বুঝতে পারতাম তার কথা বলার ধরন দেখে। বেশ কতৃত্বপরায়ন কন্ঠ ছিলো তার, সুন্দরীদের একটা স্বাভাবিক কনফিডেন্স। কিন্তু, প্রভু তাকে তার যৌবন বয়স থেকেই অভিসাপের জীবন বেধে দিয়েছিলেন। দুনিয়াটা করে দিয়েছিলেন খুবই ছোট।
খালার অসুখ সারিয়ে তোলার অনেক চেস্টা করা হয়েছিলো। কত ধরনের চেস্টাই না হতো। ভালো ফল হয় নি কোন চিকিৎসায় তাই বিভিন্ন আর সব রকম চেষ্টাই করা হয়েছিলো। এর ভিতর একটি ছিলো জ্বীন চিকিৎসা। খুব ছোট সময় এগুলো ছিলো আমাদের ছোট দের মধ্যে এক রোমাঞ্চকর বিষয়। কিন্তু কোন রোমাঞ্চই তার জীবনে ছিলো না। তার এই অবস্থা শুধু তার নিজের জীবনটাকেই অভিশপ্ত করে নি, করেছিলো আমার নানুর জীবনটাকেও। নানুর ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন জায়গায় থাকার পরেও এই শেষ বয়সে নানুকে গ্রামেই থাকতে হতো, এই খালামনিকে দেখাশোনা করার জন্য। নানু নিজেও ভীষন অসুস্থ, তারও পরিচর্যা দরকার কিন্তু……!
আফরোজা খালা ঠিকই বুঝতো, তার জন্য তার মা আজ বঞ্চিত…! সুখ পায় নি, কস্ট পাচ্ছে এই শেষ জীবনেও।
এই মহিলা, যে গত ৩০ বছরের মত শষ্যাশয়ী, বাইরের যে একটা পৃথিবী আছে তা কেমন সে জানে না। সেই মহিলা প্রভুর স্বরনাপন্ন হতে বলে আমাকে। কিভাবে… না না… কোনভাবেই মিলে না।
আমি যদি এটা কোন রিলিজিয়াস ফ্রিককে বলি, উত্তর দিবে এটা একটা পরীক্ষা।
ফাক অফ…শুওরের বাচ্চা, কিসের পরিক্ষা? কে পরীক্ষা কার উপর নিচ্ছে?
তার উপর পরীক্ষা?… বুলশিট। কি করেছে যে তাকে এই পরীক্ষায় ফেলা হলো। কই, ৩০টা বছর তো সে বিছানা থেকে উঠতে পারেনি। জানলো না পৃথিবীটা কেমন, তাহলে এই পৃথিবীতে পাঠানোই বা কি দরকার ছিলো তাকে? কেউ উত্তর দিতে পারবে? হুহ্‌
জানি, কথা বাড়ালেই বলবে, তার এই অবস্থা আসলে অন্যদের জন্য একটা শিক্ষা, লিসন।
মা*র ফাকার…শুওরের বাচ্চা।
তার ৩০ বছরের এই কস্ট আমার/আমাদের জন্য লিসন। আমি কোন ‘হনু’, আমরা কোন চ্যা_ ** যে আমাদের জন্য একজন মানুষকে প্রভু এভাবে তিলে তিলে মারবে?

বুঝি না, তারপরেও তার মুখে প্রভুর নাম…! আমি বিষয়টা ভাবতে ভাবতে বাসায় ফিরছিলাম। আর তখনই মনে হলো, হয়তো তার সাথে আমার আর কখনোই দেখা হবে না। ভেবে খুব কস্ট পেয়েছিলাম। অবাকও হয়েছিলাম।

২.
গতরাতে স্বপ্ন দেখলাম রাজীবকে। রাজীব আমার খালাতো ভাই। মামা বাসায় গেলে আমরা উঠানে খেলতাম। স্বপ্নে দেখলাম রাজীব খুব জোড়ে একটা বল মেরেছে, বলটা খালাম্মার ঘরে ঢুকে পড়েছে। দেখলাম, খালাম্মা বিছানায় শুয়ে আর আমি পাশদিয়ে চলে গেলাম।

ঘুম থেকে উঠে চিন্তা করলাম, অনেক্ষন চিন্তা করলাম। চিন্তা করে দেখলাম, স্বপ্নে যে ঘরটা দেখেছি সেই ঘরটা নেই। খালাম্মা এখন অন্য ঘরে থাকে। অফিসে গিয়ে ভাবলাম রাজীবকে একটা টেক্সট করব বলবো তাকে স্বপ্নে দেখেছি। সুপারভাইজরের সাথে তিন ঘন্টা মিটিঙ এর পর ভুলে গেলাম। সন্ধার পর অফিসের গাড়ি ধরতে ছুটে বেরিয়ে আসতেই আসতেই ভাইয়ার একটা টেক্সট পেলাম।

11130455_10153083807273046_707042704_n

৩.
প্রভু, উপরে যে গালি গুলো দিয়েছি তা কাকে দিয়েছি তুমি জানো।
তুমিই ‘কস্ট’ তৈরি করেছো দেওয়ার জন্য, আমরা তৈরি করেছি ‘গালি’। তুমিই বলো আমাদের বোঝার ক্ষমতা কম, বলো ……বলো, আমার কথা অন্ধভাবে ফলো করো। যে অন্ধভাবে মেনে যাবে তার জন্য পুরস্কার রেখেছো তুমি। আবার এই সকল কস্ট দেখিয়ে তুমি তোমার ক্ষমতার দম্ভ দেখাও। বলো, জ্ঞানীর জন্য নিদর্শন রয়েছে…! ফিলোসফি তাই না?
কালো বিদ্ঘুটে মানুষ তৈরি করেছো, মানুষ বানিয়েছো সাদা সুন্দর। সেই সুন্দর দিয়ে হাজার বছর কালোদের দাস বানিয়ে রেখেছো। মানুষ যখন তাদের বিভেদ ভুলে কাছাকাছি এসেছে তুমি ক্রেডিট নিয়েছো। নিয়েছো না? হুহ্‌
ছেলেদের বানিয়েছো এক রকম, মেয়েদের আরেক রকম। মেয়েদের তুমি তো ভোগ্য হিসাবেই তৈরি করেছো। কেনো তুমিই তো একাধিক নারীকে সম্ভগ করার পারমিশন দিয়েছো, দিয়েছো না। তাহলে কিভাবে সমান হলো সব মানুষ।
তুমি একজনের কপালে চিরজীবনের কস্ট একে দিয়ে আরেকজন কে পরীক্ষা করো।
তুমি আমাকে সুপারন্যাচারাল দেখাও, স্বপ্ন? Have you made me differently, no..never. I am far below than a random average person. I am not different.
কেনো তুমি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে দাও না। তুমি আবার নাকি হ্যাভেন তৈরি করে রেখেছো। তুমি হ্যাভেন এর সুখ তৈরি করে রেখেছো পুরুষের জন্য ৪০ জন চির যোবনবতী হুর।
পারো ও তুমি। তুমি একটা জোকার প্রভু। I hate you. I really hate you.
I know you are going to punish me. I am damn sure about it, as you did it in my immediate past. But you donno how a man can be revolt, can’t you see some of them how they are simply against you, declare war against you.
You actually don’t have any clear understanding on your creation, if you had then you would never drop us in any sort of experiments..we wouldn’t have to face any ordeal! Yes..it is the truth of this earth. The real truth between you and your creation.

2:05 AM

FB তে মন্তব্য করতে এখানে লিখুন (ব্লগে করতে নিচে) :

2 Responses to I hate you.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

October 2024
S M T W T F S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031