- Alamin on জনাব নজরুল ইসলাম খানকে নিয়ে একটা অভিজ্ঞতা…
- Alamin on বিউগল…
- Emmett on তোমার আনন্দ তুমি সবাইকে দেখাবে, দুঃখ কাউকে না…
- Fida Hasan on পেট্রিফাইড লাইফ
- Anonymous on পেট্রিফাইড লাইফ
- mortgage on তোমার আনন্দ তুমি সবাইকে দেখাবে, দুঃখ কাউকে না…
- Anonymous on Confirmed…!
- শেষ দুপুরের আলো on বিউগল…
- Fida Hasan on চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান
- Anonymous on চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান
- Anonymous on ঝির্ ঝির্ ধারা…
- Fida Hasan on ভালোমানুষের খোজে…! লোকে যাকে ভালো বলে, না…সবসময়ই ভালো সে হয় না।।
- Fida Hasan on গভীর রাতের এলোমেলো কথা
- Anonymous on ভালোমানুষের খোজে…! লোকে যাকে ভালো বলে, না…সবসময়ই ভালো সে হয় না।।
- Anonymous on গভীর রাতের এলোমেলো কথা
- ভালোমানুষের খোজে…! লোকে যাকে ভালো বলে, না…সবসময়ই ভালো সে হয় না।। Views: 14632
- মার্গারেট ও তার বাসার বিড়াল Views: 13172
- আলোচিত-সমালোচিত প্রথম ব্লগের উপর আমার দ্বিতীয় ভয়েজ ব্লগ (30-08-2013) Views: 12313
- আভা Views: 10364
- ধর্ম… (পরিবর্তিত ধারনার সংগত যুক্তি) Views: 10040
- সময়ের সাথে সুর ও জীবন (পর্ব -১)…! Views: 9324
- একটা ইরেজার হবে? Views: 9000
- প্রেমিকা… Views: 8821
- তোমার আনন্দ তুমি সবাইকে দেখাবে, দুঃখ কাউকে না… Views: 8818
- রহস্যময় মনস্তত্ত্ব Views: 8034
Note from the desk of the Chairman-2
[মুখবন্ধঃ
শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেম হলো সর্বোত্তমভাবে নিজের কাজ করা। কথাটি বলেছেন দার্শনিক সক্রেটিস। (সংশোধিত) একটা পরাধীন দেশের দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ অস্ত্র ধরে যুদ্ধ করা, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা। কিন্তু, স্বাধীন দেশ হিসাবে একজন দেশপ্রেমিকের একমাত্র কাজ হচ্ছে তার অবস্থানে থেকে নিজের কাজ করে যাওয়া, নিজের উন্নতি করা। পরিচ্ছন্নভাবে নিজের উন্নতি করতে পারলে সেই উন্নতির ছোয়া দেশের উন্নতিতে লাগবে। এটাই সত্য। আমাদের রোল/দায়িত্ব এখন এই দ্বিতীয় ক্যাটাগরির দেশপ্রেমিকের।।
আমি অনেকটা “ওপেন সোর্স” কন্সেপ্টে রিলেশন স্থাপন করি, ক্লাসরুম পরিচালনা করি। ব্যাপারটা এমন যে, একজন স্টূডেন্ট আমাকে শিক্ষক হিসাবে তার প্রয়োজনে তার উন্নতিকল্পে তার মন মত পেতে পারে/পাবে। তবে তাকে বুঝতে হবে কিভাবে আমাকে অপারেট করা যায়, আর সতর্ক থাকতে হবে প্রটোকল বা নিয়মনীতি সম্পর্কে। একবার যদি কেউ সাকসেসফুলি তার সাইকোলজিক্যাল ফরমেটটা করিয়ে নেয় তাহলে সে আমার কাছ থেকে সার্ভিস পাবে ইচ্ছামত। এই প্রটোকল বা নিয়মনীতিটা ও আমার ওপেনসোর্সের মত, অর্থাৎ এর যদি ব্যত্যয় ঘটে তাহলে আমি এমন-ই সিকিউরড হয়ে যাব তুমি আমার ভিতর এন্টার করতে পারবে না। আর যদি এন্টার করতে না পারো তাহলে সাধারন সার্ভিস ছাড়া কিছুই পাবে না।
বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নেবার পর এটা আমার দ্বিতীয় নোট তোমাদের উদ্দেশ্যে যেখানে খুবই গুরুত্বপুর্ন কিছু বিষয়ে আমি আলোকপাত করব। আমার মতে, সম্ভাবনার নাম যেমন “পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়”, ইদানিং কালে সমস্যার নামও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়…! পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন কিছু করাটা খুবই কঠিন। তাই শুরুতেই আমি বলতে চাচ্ছি আমার এই নোট কন্সেপ্টটা মোটেই নতুন না। বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তা ব্যাক্তিরা (VC, Dean, Head) বিশ্ববিদ্যালয়ের Website এ তাদের কর্মপ্লান ব্লগ আকারে লিখে। সুতরাং আমি নতুন কিছু করছিনা। আমি জানি, আজ থেকে ১৫/২০ বছর পর হলেও আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে কর্তাব্যাক্তিরা ব্লগ লিখবে। হয়তো সময় একটু বেশি নিতে পারে, তবে একদিন এই স্টান্ডার্ডে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও উপনিত হবে। তাই নতুন কিছু ভেবে সমালোচনা না করার অনুরোধ করছি। 🙂
তবে এই নোটটা সম্পুর্ন আমার লেখা আর লেখা সংক্রান্ত যাবতীয় দায়ভারও আমার। লেখা সংক্রান্ত কোন বিষয়ে Observation সানন্দে গ্রহন করা হবে এটা Ensure করে লেখাটা পড়ার জন্য আমি আগেই পাঠককে ধন্যবাদ জানিয়ে রাখছি। ]
এই সিরিজের প্রথম পোস্টটি পেতে নিচের লিংক এ ক্লিক করতে পারোঃ
Note form the desk of the Chairman
এক
প্রথমেই বলি, যে কয়েকটি বিষয় আমি আমার Last Note টায় Mention করেছিলাম তার মধ্যে Workforce এবং Fund এই দুটি বিষয় উল্লেখযোগ্য ছিলো। আমি জানতাম, আমার ডিপার্টমেন্টে প্রয়োজনীয় অফিস সহকারী না থাকলেও ব্রিলিয়ান্ট ওয়ার্কফোর্স আছে। তবে তা ব্যবহার উপযোগী ছিলো না। এই Brilliant Workforce কে Effective করার জন্য আমি প্রয়োজনীয় Measures নিয়েছি। আর সত্যি বলতে কি এর রেজাল্ট আমি পেতে শুরু করেছি। আমি এখনই বলবো না কি কি মেজারর্স আমি নিচ্ছি, তবে দুটো ভিজুয়াল মেজারর্স ছিলো, পর পর দুটো বড় প্রোগ্রাম করা। ICTian STUDY TOUR’14 এবং ICT DAY’14. এই দুটো প্রগ্রাম শুধু বড়ই ছিলো না, ছিলো ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে সাকসেসফুল দুটো প্রগ্রাম। এই দুটো প্রগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা হিডেন Workforce এবং Fund কে একিভুত করেছিলাম। এই প্রগ্রাম দুটো দিয়ে আমরা একটা Disarray কমিউনিটি/পরিবার কে Array বা সজ্জিত রুপ দিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, ICT Department এর আন্তঃবন্ধন এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। তারা শিখতে পেরেছে, যা একের জন্য বোঝা, তাই আবার দশের জন্য কিছুই না, একটা লাঠি সমতুল্য বিষয়। তাই একসাথে থেকে সামনের দিকে তারা চলবে আমার দৃঢ বিশ্বাস। আশাকরি, আমার এই বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করে ICTian রা সবসময় একে অন্যের পাশে দাঁড়াবে, সাহায্য করবে।
দুই
কথায় আছে – প্রথমে দর্শনধারী, তারপর গুন বিচারী। এটা বাস্তবতার প্রতিরুপ। এর-ই উপর ভিত্তি করে সারাবিশ্বে মার্কেটিং দাপিয়ে বেরাচ্ছে। এটা-র পরে যে আর কোন কথা নেই, ব্যাপারটা তেমন নয়। তবে পরের কথা যেটা, দর্শন নয় গুনই সব সেটার জন্য HIGHLY QUALIFIED হতে হবে। আমাদের অভিষ্ট লক্ষ সেদিকেই থাকবে তবে প্রাথমিক অবস্থায় দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য, গুন আহরনের জন্য ফোকাস পেতে, পরিবেশ তৈরি করতে দর্শনধারী হতে হবে আর সেদিকেই আমার Short Term লক্ষ।
তোমাদের বলেছিলাম, ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের কিছু ফান্ড দিচ্ছে। মুলত এই ফান্ড-টা আমাদের EARN. বিগত বছরগুলো আমরা, আই সি টি এবং সি এস ই বিভাগের শিক্ষকেরা রাত-দিন পরিশ্রম করে ভর্তি সংক্রান্ত কাজ গুলো করে দিয়েছি এবং সঙ্গতকারনেই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের Honorarium দিয়েছে। প্রতিবছর-ই এমনটা ঘটে, এমনটা ঘটে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবার প্রথম আমরা চিন্তা করলাম, এই কাজের বিনিময়টা আমরা নিজেরা না নিয়ে আমাদের ডিপার্টমেন্টে স্পন্সর করব। এই প্রস্তাবটা যখন রাখা হয়, আমি দেখেছি আমাদের প্রতিটি শিক্ষক সেখানে নিঃর্দিধায় সহমত প্রকাশ করেছে। এটা দ্বারা প্রমানিত হয়েছে প্রতিটি শিক্ষক তার ডিপার্টমেন্টকে অসম্ভব রকম ভালোবাসে, অন্যসব জায়গায়ও হয়তো একইরকম কর্মক্ষেত্রের সাথে ভালোলাগা থাকে তবে এমন ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বোধহয় আমাদের এই দুই ডিপার্টমেন্ট-ই প্রথম। আমি বিষয়টি নিয়ে খুবই বেশি আনন্দিত, আশাবাদী। আর আশাকরি এই ট্রেন্ডটা পরবর্তি বছর গুলোতে-ও থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুটি ডিপার্টমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিক্যাল সলুশনগুলো করে দিবে যার বিনিময় গুলো বিশ্ববিদ্যালয় ডিপার্টমেন্ট দুটিতে প্রদান করবে।
যাইহোক, এই ফান্ড প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য হলেও আমি ডিপার্টমেন্টের খুবই দরকারী বিষয়গুলোর কথা মাথায় রেখে তা সঠিক ভাবে খরচের দিকে নজর দিবো। আর এ প্রসঙ্গে আমার প্রথম টারগেট ডিপার্টমেন্টকে Livable করা। আমি চাই, শিক্ষক হিসাবে ডিপার্টমেন্টে অনেকটা সময় কাটাতে।
আমার খুব ইচ্ছা ছিলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে নিজের একটা চেম্বার হবে, যেখানে প্রয়োজনীয় সব কিছুই থাকবে। আমি রিসার্চের কাজ করব। কাজ করতে করতে যদি রাত-ও হয়ে যায়, আমার একটা ক্যাম্প খাট থাকবে, প্রয়োজনে ক্যাম্প খাটে রাতটা কাটিয়ে দেবো। আর নিঃসন্দেহে আমি যদি এতটা সময় দিতে পারি তাহলে সব সময় স্টুডেন্টরা আমাকে কাছে পাবে, তারাই সবচেয়ে বেশী উপকৃত হবে।
কিন্তু পরিতাপের বিষয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আমার কল্পিত চিত্রের ঠিক উলটো। এখানে একটা মেইল করতে হলেও আমাকে আমার বাসায়, ডরমিটরিতে চলে আসতে হয়। তোমরা অনেকেই জানো, আমি Wimax বাংলালায়ন ইউজ করি। যেটা একটা বিশেষ অবস্থায় আমার বাসায় চলে। বাংলালায়নের কানেকশন ক্যাম্পাসে আর কোথায় পাওয়া যায় না।
আমি জানি, যে অর্থ আমি পেয়েছি, যে পরিবেশে আমি থাকি সেখানে ওই অতটুকু অর্থ দিয়ে খুব বেশি অবস্থার পরিবর্তন সাধিত হবে না। তবে যতটুকুই হোক আমি বিশ্বাস করি এটা হচ্ছে শুরু। 🙂
তিন
আমরা ডিপার্টমেন্ট গতি আনতে চাচ্ছি। স্বাভবিকের তুলনায় একটু বেশি, কেননা সার্বিক পরিস্থিতিতে স্লথ গতিতে চলে অনেকটা পিছিয়ে আছি আমরা। আমাদের শেষ একাডেমিক কমিটির মিটিং-এ এই বিষয়টিকে আমরা হাই প্রায়রিটি দিয়েছি তাই কিছু মেজারর্স নিয়ে এগুতে চাচ্ছি। তবে এ বিষয় আমার কিছু Observation আছে, আছে কিছু স্পস্ট কথা।
এটা সত্য যে গতি আসলে তা সবার ভিতর-ই সঞ্চারিত হওয়া উচিত এবং Ultimately তা হবেও। ইতিমধ্যে যতটুকু গতি সঞ্চারিত করা হয়েছে আমি লক্ষ করেছি তাতে ডিপার্টমেন্ট সংশ্লিষ্ট সকলেই প্রেশার অনুভব করেছে। বিষয়টা এখানেই, গতিময় একটা ডিপার্টমেন্ট পেতে হলে প্রেশার নিয়ে কাজ করতে হবে। Pressure না নিলে গতিময় জীবন আসবে না। তবে একটা গতিময় জীবন যে খুবই Exciting এটা ফিল করতে শিখলে Pressure কে সহনীয় মনে হবে।
চার
তোমরা জানো একাডেমিক গতির সাথে Infrastructure Facilities অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। ডিপার্টমেন্টে ক্লাসরুম সংকট সর্বজনবিদিত। তবে, এই সপ্তাহ থেকেই সাময়িক ভাবে আমরা দুটি ক্লাসরুম পেতে যাচ্ছি যা কিছু দিনের জন্য আমাদের সমস্যার সমাধান করবে। এটা আমাদের একটা ধৈর্য্যের ফসল। বস্তুতঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো কিছু একাডেমিক ভবন না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান সাহসাই হবে না। তবে কিভাবে বর্তমান অবস্থায় ইফেকটিভলি কাজ করা যায় এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ।
পাচ
সেশনজট বিভাগের সবচেয়ে বড় ব্যাধি। এই ব্যাধিমুক্ত হতে Measures নেওয়া হচ্ছে। আমরা একাডেমিক কমিটি থেকে ডিসিশন নিয়েছি এবার সামার ভ্যাকেশনে পরীক্ষা আর সম্ভব হলে ক্লাস নিবো। একই সাথে কয়েকটি ব্যাচে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালাব। তবে এখানে শিক্ষকদের সাথে স্টূডেন্টদের প্রত্যক্ষ ভুমিকা দরকার।
আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পরীক্ষা কাছাকাছি আসলে ক্লাস টেস্ট, মিড টার্ম, এসাইনমেন্ট কিংবা প্রেজেন্টেশনের চাপ চলে আসে। সকল শিক্ষকেরাই তাদের সিডিউল নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। কিন্তু স্টুডেন্টরা ক্ষনকালীন চাপ সহ্য করতে পারে না, তারা পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়, স্যার ওই দিন অমুক স্যারের একটা পরীক্ষা/টেস্ট/মিড/এসাইনমেন্ট/প্রেজেন্টেশন আছে। এটা বলে তারা পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে উদ্যত হয় আবার পরীক্ষা পিছিয়েও দেয়। এই ধরনের স্টেপ, গতির জন্য Negative Catalyst. এটা শুধুই ফাইনাল পরীক্ষাকে পিছিয়েই দেয় না, শিক্ষকদের প্রচেষ্টাকে Demotivated করে।
তোমরা জানো কিনা, এই বাংলাদেশেই যে সকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো আছে সেখানে বছরে ৩টি সেমিস্টার হয়। সেই ৩টি সেমিস্টারে তাদের সব কিছুতেই এটেন্ড করতে হয়। আমি নিজে দেখেছি, একই দিনে মিড, প্রেজেন্টেশন কিংবা এসাইনমেন্টে তারা পার্টিসিপেট করতে অভ্যস্ত। যারা Retake/Supplementary দেয় তারা একই দিনে দুটি ফাইনাল পরীক্ষাও দেয়। তাই বলব, সেমিস্টার সিস্টেমে পরীক্ষার যে র্যাপিডিটি তা সহজাত। তোমাদের দুটি সেমিস্টার বছরে, যা ৩ সেমিষ্টার থেকে সহনীয়। তাই, একই দিনে একাধিক এসেসমেন্টে পার্টিসিপেট করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে, নতুবা জট পাকাতেই থাকবে। কেননা তোমার ১ দিন পিছিয়ে দেওয়া তোমাকেই অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পুরো বিষয়টি উপলদ্ধির মাধ্যমে আমি তোমাদের আহবান করব, এখন থেকে একই দিনে একাধিক শিক্ষকের পরীক্ষা থাকলেও পরীক্ষা না চেঞ্জ করে তাতে তোমরা পার্টিসিপেট করবে। তাহলেই তোমরা সেশনজট মুক্ত করতে কিছু ভুমিকা রাখতে পারবে। নতুবা, অদৃষ্টের দিকে তাকিয়েই থাকতে হবে।
উপরের ছবিটার দিকে তাকাও, খুবই মজার একটা ছবি এটা। একটা Cock দলনেতার ভুমিকায় আছে আর A flock of Hen গাইড করছে, আগে থেকে পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। 🙂
কিছু কিছু মানুষের মধ্যে সহজাত এই লিডিংশিপ Quality থাকে, আর যাদের থাকে না তাদের Practice এর মাধ্যমে গড়ে তুলতে হয়। আমার Last Note টায় আমি তোমাদের মাঝ থেকে কিছু মস্তান স্টুডেন্ট চেয়েছিলাম :), তোমরা আমাকে আশ্বাসও দিয়েছিলে। কিন্তু…!
আমি খুব ক্লোজলি অবজার্ভ করে দেখেছি, কয়েকটা ব্যাচের প্রবলেম-এর নাম হচ্ছে যথাযথ Class Representative বা CR বা আমার ভাষায় Batch Leader এর অভাব। সবচেয়ে প্রকট এটা 2nd Batch এ। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে 2nd Batch এর সাথেই আমার যাত্রাশুরু হয়েছে তাই ওদের প্রতি আমার আলাদা একটা এফেকশোন আছে, তারপরো আমি বলবো ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে দুর্বল ব্যাচ এই 2nd Batch. (আমি দুঃখিত আমার দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্রছাত্রীরা, তবে এইটা Quote না করে আমি পারলাম না। গতদিন আমাকে একটা বিষয়ে এতটাই আপসেট হতে হয়েছে যে আমি ঠিক করেছি এভাবে চলতে থাকলে আমি সিভিয়ার Action নিবো, যার একটা অংশ হিসাবে অলরেডি আমি তোমাদের বর্তমান CR কে এমনভাবে Treat করেছি যা আমি আমার শিক্ষক জীবনে করি নি।) তোমরা আমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দাও,কথা শুনো আমার, যেভাবে বলছি করো। কথা দিচ্ছি, আমাকে সাহায্য করলে তোমরাই সবচেয়ে উপকৃত হবে সেটা আমি প্রমান করে দেবো।
প্রথম ব্যাচ একটা CR নিয়ে চলছে। আরেকটি CR খুজে বের করাই দুরহ হয়ে গেছে। অথচ CR হয়ে লিডিংশিপ কোয়ালিটি গড়ে তোলার এই অপুর্ব সুযোগ আর কখনোই আসবে না এই সাদামাটা ব্যাপারটাই ওরা বুঝছে না। টাইম মেশিন থাকলে তোমাদের একটু সম্ভাব্য ফিউচার দেখিয়ে নিয়ে আসতাম…!
তৃতীয় ব্যাচের CR দের আরো Active হওয়ার জন্য আহবান করছি। এই ব্যাচটা বেশ এনিমেটেড। তবে রেজাল্টের দিকে নজর দিতে হবে।
চতুর্থ ব্যাচ নিয়ে একটু শংকিত আমি। নেত্রিত্ব দিতে হলে ভালোদের ভিতর ভালো হতে হবে, একাডেমিক পারফর্মেন্স ভালো করতে হবে। CR দের এখানে ঘাটতি আছে। এদিকে Concentration দেবার জন্য আহবান করছি।
CR সংক্রান্ত বিষয় বা এই লিডিংশীপটা এতটাই গুরুত্বপুর্ন যে এতদিন হয়ে গেলেও আমি Fifth Batch এর CR এখনো নমিনেট করিনি। Adhoc এ দুজন CR এর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, CR খুবই গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখে একটা ব্যাচের Overall Performance এ তাই অবজার্ভ না করে আমি তাদের হাতে ৪ বছরের নেতৃত্ব তুলে দিতে চাচ্ছি না। তবে অচিরেই কাউকে না কাউকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে।
সাত
প্রিয় শিক্ষার্থী, প্রতি মানুষেরই একটা দুনিয়া আছে, নিজেস্ব। আছে ব্যক্তিগত জীবন, আছে পরিবার, বন্ধুবান্ধব দের জন্য সময়, আর ফেসবুক তো আছেই…! আমি বলি কি এগুলো থেকে একটু সময় বের করো। এই সময়টুকু তুমি বের করবে তোমার ভবিষ্যতের জন্য। আর এই সময়টুকু এখন তুমি ব্যয় করবে একাডেমিক কাজে। বিশ্বাস করো আমায়, তুমি যদি এই চারবছরের নিজেস্ব সময় থেকে একাডেমির জন্য কিছু সময় বের করতে পারো, এই সময়টা Amplified হবে তোমার পরবর্তী জীবনে। সুঃখ-সাচ্ছন্দের পাশাপাশি তুমি দীর্ঘায়ু লাভ করবে। সত্যি তুমি করবে।।
তাই, আজ ই শুরু করো, কিছু কিছু সময় তুমি সেক্রিফাই করে একাডেমিক ডেভেলপমেন্টে দাও, চাইলে তুমি নিজেকেই নিজে বলতে পারো, এই সময়টি আমার বন্ধুদের ছিলো, আজ দিলাম না ওদের, আজ দিলাম পড়াশুনায়/ডিপার্টমেন্টে। দেখো, তোমার ভিতর একটা Power জন্মাবে যা তোমাকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ধন্যবাদ তোমাদের, আজ আর অন্য কোন বিষয়ে আলোকপাত করবো না। তোমাদের কোন Query বা Observation থাকলে আমি তোমাদের কমেন্টে লিখতে আহবান করলাম। কোন Idea/opinion/problem, Anything, Everything, you may just drop here. আমি দেখেছি বিগত কমেন্ট গুলো থেকে অনেক মুল্যবান পরামর্শ বেরিয়ে এসেছে যা আমাকে নতুনভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করেছে। ধন্যবাদ আবারো।
FB তে মন্তব্য করতে এখানে লিখুন (ব্লগে করতে নিচে) :
10 Responses to Note from the desk of the Chairman-2
Leave a Reply Cancel reply
- April 2022 (1)
- May 2016 (3)
- April 2016 (8)
- March 2016 (4)
- February 2016 (4)
- January 2016 (2)
- November 2015 (2)
- October 2015 (6)
- September 2015 (7)
- August 2015 (4)
- July 2015 (8)
- June 2015 (4)
- May 2015 (7)
- April 2015 (5)
- March 2015 (6)
- February 2015 (11)
- January 2015 (18)
- December 2014 (2)
- October 2014 (2)
- September 2014 (5)
- August 2014 (2)
- July 2014 (3)
- June 2014 (5)
- May 2014 (5)
- April 2014 (4)
- February 2014 (1)
- January 2014 (4)
- December 2013 (3)
- November 2013 (4)
- October 2013 (1)
- September 2013 (1)
- August 2013 (2)
- July 2013 (4)
- June 2013 (10)
- May 2013 (1)
S | M | T | W | T | F | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |