বিভ্রান্তই বটে…! একটা মাস কিভাবেই না কেটে গেলো। Count Down টা শুরু করলাম মনে হলো গতকাল, অথচ ১১ দিন চলে গেলো। গত এক মাস অনেক গুলো টার্গেট নিয়ে কাজ করেছি। অভ্যাস পরিবর্তন করতে চেয়েছি। পরিবর্তিত হয়েছে, এলোমেলো, ইচ্ছামত হয় নি।
কাজের ভিতরে যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে আজ আর্টিকেলটা কমপ্লিট করেছি। এই আর্টিকেলের কাজ করতে মিনিমাম ৩-৪ মাস সময় লাগার কথা ছিলো কিন্তু আমি এক মাসেই তা করে ফেলেছি। এলো মেলো রুটিনটা সেজন্যই হয়েছে। এই রোজায় রুটিনটা করতে চেয়েছিলাম ডিফাইন্ড। হলো কই?
But Happy, I had a meeting today with my supervisor. It was at the late evening, I gave him that article. He seems happy to see it. That’s good. However, I couldn’t break my fast at the right time today due to this meeting. After the meeting I rushly came out and did made it. যখন মাগরিবের সময় হলো আমার ফোনের এপ আযান দিয়ে দিলো। হা হা হা
খুব চাপে ছিলাম এই আর্টিকেলটা কমপ্লিট করার বিষয়ে, আর ব্রেনে চাপ পড়লেই ভাবনার জগতে ঘটনা ঘটতে থাকে এলোমেলো। আমার নিজের লাস্ট দুটো নোট পড়ে তাই ই মনে হলো।

তবে এটা ঠিক মুসলিমদের কান্ডকারখানায় আমি ও বেশ বিভ্রান্ত। গতকাল থেকে এতটাই বিভ্রান্ত হয়েছিলাম যে আজ যখন ইফতারীর সময়টা হলো তখন স্বাভাবিক কাজটা করিনি। আমি চাইলেই প্রফেসরকে বলে ফাস্ট ব্রেক করতে পারতাম। কিন্তু তা করিনি। পাত্তা দেই নি।
সবার কার্যকলাপ-এর ইফেক্ট আমার ভিতর পড়েছে…!

Anyway, there are so many things between this earth and (so called) heaven. I need to coin only those are suitable for me. I found most of the people around me is doing in that way, but I sometimes think differently. It is really just wastage of time. জীবন মানে আসলেই শুধু বেচে থাকা। তাই ভালো ভাবে বেচে থাকাটাই মুল লক্ষ হওয়া উচিত। কিসের কি সেন্টিমেন্ট। সেন্টিমেন্ট শালা মুড়ি খাক।

একটু আগে আমি চমকে গিয়েছি। আর্টিকেলটা প্রফেসরকে দিয়ে বেশ শান্তি লাগছিলো কিন্তু প্রফুল্ল হতে পারছিলাম না। টানা এক মাস কোয়ারেন্টাইন লাইফ লিডের কারনে ড্যাম ভাব বিদ্যমিত ছিলো। কিন্তু সেটা ধাপ করে চেঞ্জ করে দিয়ে গেলো একটা ছেলে। মুস্তাফিজ, আমরা ডাকি মুস্তাফিজ ভাই। মুস্তাফিজ ভাই আসলে একাডেমিক্যালি আমার ২ বছরের ছোট। কিন্ত, বাংলাদেশী যারা আমরা এখানে আছি তাদের ভিতরে সেই প্রথম কয়েকজনের ভিতর একজন যারা এখানে এসেছে। মুস্তাফিজ ভাইয়ের PhD কমপ্লিট, সম্প্রতি সে Permanent Resident ship পেয়েছে। এই ছেলেটা অসম্ভব ভালো একটা ছেলে। সবাই ই বলে। আমি ও বলি। সে বেশ হেল্পফুল। আসার পর আমাকে সে অনেক অনেক ভাবে হেল্প করেছে। সে সবাইকেই হেল্প করে তাই সে বেশ জনপ্রিয়। ভালো ছেলের একটা প্রতিমা। এখানে এই ছেলে যখন কিছু বলে আমি দেখেছে কেউ প্রটেস্ট করে না।
মুস্তাফিজ ভাই আমাকে অবাক করে দিয়ে একটা কান্ড করলো। সে আমাকে একটা গিফট করলো ঈদ উপলক্ষে। এবং গিফটা রীতিমত একটা জামা। আমি ভিষন অবাক হয়েছি। সে নিজেই ব্যচেলর, আমাদের মতই। কিন্তু …
অদ্ভুদ ভালো ছেলে এইটা। বুদ্ধিমান ছেলে। ঈদের আনন্দ সঞ্চারিত করতে সে কাজটা করেছে। এবং সে রীতিমত সাকসেসফুল। আমি শুধু অবাকই হই নি, কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ হয়েছি। কি জানি, সে যখন প্রথম এসেছিলো একা একা থাকতো, এ ধরনের কোন অভাব বোধ তার ভিতর তৈরি হয়েছিলো কিনা যে জন্য সে কাজটা করলো।
শেখার আছে অনেক কিছু।
আমি লিটারালি ডি মোটিভেটেড ছিলাম। গতকাল বাসায় ফোন দিয়ে চিল্লাচিল্লও করেছি। সকালে যখন আর্টিকেলটা নিয়ে কাজ করছিলাম তখন লাইফটা মিনিং লেস মনে হচ্ছিলো। এবং নিজেকে সত্যিকার অর্থেই দূর পরবাসী মনে হচ্ছিলো। অথচ, মুস্তাফিজের এই কান্ড আমাকে…!
সাইকোলজি, হিউম্যান সাইকোলজি।

কাল সকাল ৬ঃ৫০ শে ঈদের নামাজ, ১ ঘন্টা আগে রওনা দিতে হবে। আজ এতটাই মেজাজ খারাপ ছিলো যে শুক্রবারের নামাজটা পড়তে যাই নি। মনে হয়েছে এইগুলা করে কি হবে। আবার ভাবছিলাম ওই সকালে উঠে নামাজে যেয়েই বা কি হবে, IS না ইসলামিক স্টেট নামে কি যেন একটা আছে যারা বলেছে ঈদের নামাজ পড়া যাবে না, আমার মনে হচ্ছিলো ওরাই ঠিক আর আমি এখন ওদের ফলোয়ার। যেহেতু আমি ওদের ফলোয়ার তাই নামাজ না পড়লেও হবে। এই ঘটনার সাথে আমি এই আজ কিংবা কাল কিংবা ইচ্ছা মত ঈদ পালনের বিষয়টাকে কো রিলেট করছিলাম। করার অবশ্যই যুক্তি সঙ্গত কারন আছে।
একটা দেশ এমনকি একই জায়গা, কিন্তু সকল মুসলিম এক সাথে ঈদ করছে না। ইভেন বাংলাদেশীরাও কেউ কেউ আজ আর অন্যরা কাল ঈদ করছে। এটা কি ভয়াবহ এনার্কি নয়…! কেউ ভুল করছে কি? যদি উত্তর হয় না, তাহলে ধর্ম বলে যে Fence এত দিন ছিলো তার ভেঙ্গে পড়ার সময় এসেছে। আর যদি বলা হয় কেউ এক জন ভুল, তাহলে কে ভুল সেটাও নির্নয় করার কোন পরিমাপক বা সদিচ্ছা নেই বলেই মনে হয়।
কাউকে জিজ্ঞাসা করলে সে তার অবস্থানে অটল আবার বলে সবারটাই কবুল হবে। মানে হচ্ছে সে যেটা ফলো করছে সেটা রাইট, আবার অন্যটা ফলো করলেও সেটা রাইট। তাহলে আমি IS কেনো ফলো করবো না। আমার ইচ্ছা মত আমি ফলো করবো। যেটা ভালো আমার মনে হয় সেটা করবো। এই কথা যদি বলি তাহলে অনেকেই বলবে সেটা পারবে না, যে কোন একটা ফলো করতে হবে।
ওরে…মুড়ি, যে কোন একটা ফলো করতে হবে সেটা কে বলেছে? আল্লাহ?
না তোমরা এটা বানাইছো, আর নিজেদের ইচ্ছা মত সব করছো।

আর ভাল্লাগে না। I need to eradicate the religious part from me. It is very much annoying now..!

–From Broken Brisbane.

FB তে মন্তব্য করতে এখানে লিখুন (ব্লগে করতে নিচে) :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

April 2024
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930